এক নজরে টু-১৬০এম২
দেশ: রাশিয়া
বহির্বিশ্বে পরিচিতি: ব্লাকজ্যাক নামে
প্রথম ক্রেতা: রুশ বিমানবাহিনী
নির্মাণ প্রতিষ্ঠান: কাজান এয়ারক্রাফট এন্টারপ্রাইজ
ডিজাইন: টুপোলেভ বিমান ডিজাইন কোম্পানি
বিশেষত্ব: পৃথিবীর সবচেয়ে বড় সুপারসনিক যুদ্ধবিমান
ইঞ্জিন: কুজনেৎসভ এন কে -৩২ টার্বোফ্যান
একটানা উড়তে পারবে: ১৩০ টন জ্বালানি তেল দিয়ে অন্তত ১৫ ঘণ্টা
টু-১৬০এম২-এর প্রথম উড্ডয়ন হবে: ফেব্রুয়ারি, ২০১৮
বাণিজ্যিকভাবে হস্তান্তর শুরু হবে: ২০২৩ সালে
আধুনিকীকরণ শেষে যা থাকছে: নতুন ইঞ্জিন, ইলেকট্রনিক অবকাঠামো, কাচের ককপিট, যোগাযোগ ও উন্নত নিয়ন্ত্রণব্যবস্থা
আকাশপথে রাশিয়ার যুদ্ধবিমানগুলোর দুর্দান্ত দাপটের কথা কে না জানে? পুতিনের হাত ধরে দেশটির সমরশক্তি আকাশপথকে আরও সুসংহত করার পদক্ষেপ নিয়েছে। এরই অংশ হিসেবে আসছে রাশিয়ার কৌশলগত নতুন যুদ্ধবিমান টু-১৬০। এটি অনেক আগে থেকেই পশ্চিমাদের জন্য মাথাব্যথা হয়ে আছে। বিশ্বের সবচেয়ে বড় এই সুপারসনিক যুদ্ধবিমানকে এবার আরও আধুনিকীকরণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ক্রেমলিন। ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়া পরীক্ষামূলকভাবে প্রথম ওড়াতে যাচ্ছে টুপোলেভ টু-১৬০এম২।
নতুন যুদ্ধবিমানে আধুনিক ও সবচেয়ে শক্তিশালী ০২ সিরিজের কুজনেৎসভ এন কে -৩২ টার্বোফ্যান ইঞ্জিন ব্যবহার করা হয়েছে, যা আরও বেশি কার্যক্ষম। এই ইঞ্জিনকে যুদ্ধবিমানের জন্য সবচেয়ে শক্তিশালী হিসেবে ধরা হয়। আগের মডেলের ইঞ্জিন থেকে এটি আরও বেশি নির্রভযোগ্য। অতিরিক্ত দূরত্বের গন্তব্যে গেলে ওড়া অবস্থায় অন্য বিমান থেকে জ্বালানি নেওয়ার ব্যবস্থা (ইন ফ্লাইট রিফুয়েলিং) থাকছে টু-১৬০-এ। সর্বোচ্চ ধারণ ক্ষমতার ১৩০ টন জ্বালানি তেল দিয়ে অন্তত ১৫ ঘণ্টার পথ পাড়ি দিতে পারবে। ধারণা করা হচ্ছে, টু-১৬০এম২ বিমানে আগের মডেলের মতো কেএইচ-১০১/১০২ ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র থাকবে। রাশিয়ার এই ক্ষেপণাস্ত্র সর্বোচ্চ সাড়ে পাঁচ হাজার কিলোমিটার দূর থেকে আঘাত হানতে পারে। নয়া ক্ষেপণাস্ত্র কেএইচ ১০১-কে রাশিয়ায় তো বটেই, বর্তমান বিশ্বের সবচেয়ে দীর্ঘপাল্লার উন্নত প্রযুক্তির বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র বলে ধরা হয়। সিরিয়ায় রুশ বিমান হামলায় এই ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করা হচ্ছে। একটি টু-১৬০এম২ বিমান ৪০ হাজারেরও বেশি ক্ষেপণাস্ত্র বহন করতে পারবে।
Leave a Reply