
গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের দপ্তর উপকমিটির প্রথম সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন ওবায়দুল কাদের। সভা শেষে তিনি সাংবাদিকের এক প্রশ্নের জবাবে মন্তব্য করেন, ‘সমাবেশের বাইরে ঢাকার রাস্তায় কোথায় কী হয়েছে, এটা আমাদের দলের বিষয় নয়। আর এটাতে অবশ্যই সরকারের দায় আছে।’
বুধবার ৭ মার্চ উপলক্ষে ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ করে আওয়ামী লীগ। সমাবেশে যাওয়া ও আসার সময় আওয়ামী লীগ এবং এর সহযোগী সংগঠনের কর্মীদের বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নারীদের যৌন নিপীড়ন করার অভিযোগ ওঠে। এ নিয়ে রাজধানীর একটি কলেজের এক শিক্ষার্থী নিজের ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দেন। বাংলামোটর মোড়ে আওয়ামী লীগের সমাবেশে যাওয়ার উদ্দেশে রওনা হওয়া একটি মিছিল থেকে অংশ নেওয়া কর্মীরা ওই মেয়েটির ওপর নির্যাতন করে।
সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, কোথাও যদি কিছু ঘটে থাকে, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলছেন তিনি খতিয়ে দেখছেন। এ সরকারের আমলে এ ধরনের কিছু ঘটিয়ে কেউ রেহাই পায়নি, গতকাল যদি ঘটে থাকে; কেউ ছাড় পাবে না। সাংবাদিকের এক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপির জ্যেষ্ঠ নেতারা তাঁদের দলীয় প্রধানের সঙ্গে কথা বলে হাসতে হাসতে জেলগেট দিয়ে বেরিয়ে গেলেন, তাঁদের কেউ গ্রেপ্তার হয়েছেন—এটা জানা নেই। তিনি বলেন, বিএনপি নিজেদের সঙ্গে হাতাহাতি, মারামারিতে জড়িয়ে পড়ে আর দোষ হয় সরকারের। সবকিছুতে ‘নন্দ ঘোষ’ সরকারের দায় খুঁজে পায় বিএনপি।
বৃহস্পতিবার নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অভিযোগ করেন, ‘আমাদের যাঁরা নেতৃস্থানীয়, যাঁরা দল পরিচালনা করেন, তাঁদের বেছে বেছে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে।’ বিএনপির মহাসচিবের বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় ওবায়দুল কাদের এ মন্তব্য করেন।
গতকালের সমাবেশের বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগের সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রীর আহ্বানে কারও আঁতে ঘা লাগা, অন্তর্জ্বালার কিছু নেই। আওয়ামী লীগের প্রধান হিসেবে শেখ হাসিনার ভোট চাওয়ার অধিকার আছে। তিনি বলেন, দেশে যেন অশুভ, সাম্প্রদায়িক শক্তি আর ক্ষমতায় আসতে না পারে, প্রধানমন্ত্রী দেশবাসীকে এটি মনে করিয়ে দিয়েছেন। এখানে বিএনপির অন্তর্জ্বালার কী আছে?
এ ছাড়া দলের উপকমিটি গঠনের বিষয়ে ধারণা দেন ওবায়দুল কাদের। তিনি নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে বলেন, তিন মাসের সময় নেওয়া হয়েছিল। এক মাস চলে গেছে। উপকমিটি গঠনের কাজ চলছে। যাচাই-বাছাই শেষে ঠিক সময়ের মধ্যে কমিটি ঘোষণা করা হবে। প্রাথমিক কাজ এর মধ্যে শেষ। এ ছাড়া যদি কারও বিরুদ্ধে অসদাচরণ, অসততা এবং কোনো অপরাধের প্রমাণ পাওয়া যায়, তাহলে তিনি বাদ যাবেন।
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডি :/ এস এস
Leave a Reply