
একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধকালীন মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার হলো আরো একবার। আজ যুদ্ধাপরাধের দায়ে ময়মনসিংহের ফুলবাড়ীয়ার রিয়াজ উদ্দিন ফকিরের মৃত্যুদণ্ডের রায় দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
তদন্ত প্রতিবেদনে তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়, মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে ২২ আগস্ট থেকে ২১ নভেম্বরের মধ্যে ফুলবাড়ীয়া উপজেলার বেবিট্যাক্সি স্ট্যান্ড, রাঙ্গামাটিয়া ঈদগাহসংলগ্ন বানা নদী, বিদ্যানন্দ ফাজিল মাদ্রাসা, ফুলবাড়িয়া ঋষিপাড়া, আছিম বাজার ও ভালুকজান গ্রামে তাঁরা মানবতাবিরোধী অপরাধ ঘটান।
আজ বৃহস্পতিবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল মৃত্যুদন্ডের রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার সময় মুক্তিযুদ্ধকালীন মানবতাবিরোধী এই অপরাধী আদালতে উপস্থিত ছিলেন। তাঁকে আজ সকাল ৯টার দিকে কারাগার থেকে আদালতে নিয়ে আসা হয়।
গত ২১ মার্চ এই মামলায় উভয় পক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শেষ হয়। ট্রাইব্যুনালে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী হিসেবে ছিলেন ঋষিকেশ সাহা। অন্যদিকে, আসামিপক্ষে ছিলেন সৈয়দ মিজানুর রহমান ও মুজাহিদুল ইসলাম শাহিন।
২০১৬ সালের ১১ ডিসেম্বর পাঁচটি অভিযোগের ভিত্তিতে এ মামলার অভিযোগ গঠন করেন ট্রাইব্যুনাল। মামলার প্রথম দিকে আসামি তিনজন থাকলেও বাকি দুই আসামির মৃত্যুতে ট্রাইব্যুনাল মামলা থেকে তাদের নাম উঠিয়ে নেয়। মামলার বাকি দুজনের মধ্যে আমজাদ আলী গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারেই মারা যান। আর ওয়াজ উদ্দিন পলাতক অবস্থায় মারা যান। রিয়াজ উদ্দিন ফকির কারাগারে আছেন।
২০১০ সালে ট্রাইব্যুনাল গঠনের মধ্য দিয়ে একাত্তরের যুদ্ধাপরাধের বিচার শুরুর পর এটি ৩২তম রায়। স্বাধীন বাংলার মাটিতে যুদ্ধাপরাধী এক কলংকের নাম। দেশের প্রতিটি নাগরিকের তাই প্রাণের দাবী, যত দ্রুত সম্ভব সকল যুদ্ধাপরাধীকে আইনের আওতায় নিয়ে আসতে হবে।
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডি :/ এস এস
Leave a Reply