
গত ২৯ জুলাই দুপুরে বিমানবন্দর সড়কে জাবালে নূর পরিবহনের বাসের চাপায় নির্মম ভাবে নিহত হয় শহীদ রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র আবদুল করিম রাজীব ও একাদশ শ্রেণির ছাত্রী দিয়া খানম মীম।
এই ঘটনায় বিক্ষোভ-অবরোধ শুরু করে শিক্ষার্থীরা। দেশে সাময়িক ভাবে তৈরী হয় এক অরাজকতার পরিস্থিতি। এরপর থেকেই সড়কে নৈরাজ্য বন্ধে তৎপর হয় প্রশাসন।
তবে এবার সচেতনতার এক উদাহরন সৃষ্টি করলেন সড়ক ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। গাড়ির লাইসেন্স ও কাগজপত্র যাচাই করার জন্য রাস্তায় নেমে পড়লেন তিনি নিজেই। আজ বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে পুরান ঢাকার কয়েকটি এলাকায় আকস্মিকভাবে মন্ত্রীর তৎপরতা চোখে পড়ে। এসময় গণমাধ্যমকর্মীদেরও উপস্থিতি দেখা যায়।
ওবায়দুল কাদের প্রথমে একটি বাস ধরে ফেলেন। চালকের কাছে কাগজপত্র দেখতে চান, এসময় মন্ত্রীকে দেখে চালক বিস্মিত হয়ে যান। এরপর কাগজপত্র দেখান।
কাগজপত্র সব ঠিকঠাক থাকায় বাসটিকে ছেড়ে দেন। এরপর সময় টেলিভিশনের একটি গাড়ি আটক করেন। অবশ্য গাড়ির কাগজপত্র ঠিকঠাক থাকায় ছেড়ে দেন। এরই ধারাবাহিকতায় মন্ত্রী আরও কয়েকটি ইলেক্ট্রোনিক মিডিয়ার গাড়ির কাগজ যাচাই করেন।
পুরান ঢাকার বাবুবাজার এলাকায় বেশকিছুক্ষণ গাড়ির কাগজপত্র যাচাই করছিলেন। তিনি তার সাথে থাকা ট্রাফিক বিভাগের লোকদের নির্দেশ দেন যাতে গতিসম্পন্ন সড়কে ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা না চলে। ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা চলাচল করে কি না, স্থানীয়দের কাছে জানতে চান।
এটি শুধুমাত্র দু একদিনের জন্যে নয়। সচেতনতা ধরে রাখতে হবভে সবসময়ের জন্যেই। এছাড়া সচেতন হতে হবে আমাদের জনসাধারনেরও। তা না হলে কেবল সরকারকে দোষারোপ করে এইসব অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্ঘটনা থেকে মুক্তি মিলবে না।
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডি :/ এম ইউ
Leave a Reply