
কোটা সংস্কার আন্দোলনের নেত্রী লুৎফুন নাহার লুমাকে তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি (আইসিটি) আইনের মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছিলো। রমনা থানায় দায়ের করা এই মামলায় সোমবার তাঁকে জামিন দিয়েছেন আদালত।
ঢাকার মহানগর হাকিম সুব্রত ঘোষ শুভ এ আদেশ দেন।
সংশ্লিষ্ট আদালতের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা মাহমুদুল হাসান এসব জানান। তিনি বলেন, ‘আজ ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালতে রমনা থানায় দায়ের করা আইসিটি আইনের মামলায় জামিনের আবেদন করেন আসামি লুমা। শুনানি শেষে বিচারক তাঁর জামিন মঞ্জুর করেন।
গত ৪ আগস্ট আওয়ামী লীগের ধানমণ্ডি কার্যালয়ে ফেসবুকে ধর্ষণের গুজব ছড়ানো হয়। সেদিন শিক্ষার্থীদের রাস্তায় অবস্থানের সময় হঠাৎ ফেসবুক লাইভে এসে বেশ কয়েকজন বলতে থাকে, আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে ধর্ষণ, হত্যা করা হচ্ছে।
এ সময় বোরকা পরা এক তরুণী রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে চিৎকার করে নানা মন্তব্য করতে থাকেন। মেয়েটির মুখ ঢাকা ছিল। ওই তরুণী লুমা বলেই সামাজিক মাধ্যমে প্রচার পায়।
এজাহার সূত্রে জানা যায়, ফেসবুকে লুমা সরকার নাম ব্যবহারকারী হলো লুৎফুন্নাহার লুমা ওরফে নীলা ওরফে লুমা সরকার। আসামির ‘টাইম লাইনে’ লেখা অশ্রাব্য ‘স্ট্যাটাস’ দেখে যে কেউ নীতিভ্রষ্ট হতে পারে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে। গোপন তদন্তে লুমা অনেক সক্রিয়ভাবে রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকাণ্ডের সাথে সম্পৃক্ত আছে বলে জানতে পেরেছে পুলিশ। লুমার কাছ থেকে দুটি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়েছে।
গত ১৫ আগস্ট ভোর সাড়ে ৪টার দিকে সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলার খিদ্রচাপড়ি এলাকা থেকে লুৎফুন্নাহার লুমাকে গ্রেপ্তার করে কাউন্টার টেররিজম ইউনিট ও বেলকুচি থানার পুলিশ। লুমা তাঁর দাদার বাড়িতে ছিলেন।
যৌক্তিক আন্দোলনের সঙ্গে থাকলে এমনিই দাবী ছিনিয়ে নেয়া সম্ভব। গুজব ছড়িয়ে মথ্যা অপপ্রচার চালিয়ে কোনো আন্দোলনকে গঠনমূলক রূপ দেয়া যায় না। বরং এতে সেই আন্দোলনই বিতর্কের মুখে পড়তে পারে। আমাদের তাই যে কোনো তথ্য অন্যকে জানাবার পূর্বে তার সত্যতা যাচাই করে নেয়া উচিৎ।
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডি :/ এম ইউ
Leave a Reply