
রাজ্যসভার বৃহস্পতিবারের অধিবেশনটি হওয়ার কথা ছিলো অন্য যে কোনো দিনের চেয়ে বিশেষ। কারণ এদিনই রাজ্যসভার সাম্মানিক সদস্য ক্রিকেট কিংবদন্তী শচীন টেন্ডুলকরের প্রথম বক্তব্য রাখার কথা ছিলো এখানে। শচীন নিজেও ছিলেন প্রস্তুত। কিন্তু সদ্য সমাপ্ত গুজরাত নির্বাচনের হাওয়া এখনও উত্তপ্ত করে রেখেছে রাজ্যসভাকে। সেই উত্তপ্ত পরিবেশই শচীনকে দিল না তার বক্তব্য রাখতে।
ভারতের কিংবদন্তি ক্রিকেটার শচীন টেন্ডুলকর বৃহস্পতিবার সম্মুখীন হলেন জীবনের অন্যতম লজ্জাজনক ঘটনার। প্রথমবারের মতো ভারতের পার্লামেন্ট রাজ্যসভায় বক্তব্য রাখতে এসে কংগ্রেসের গোলমালের কারণে তাকে নির্বাক দাঁড়িয়ে থাকতে হলো ঝাড়া ১০ মিনিট।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বক্তব্যে উঠে আসে গুজরাতের নির্বাচন। সেইসঙ্গে উঠে আসে সাবেক প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং-এর প্রসঙ্গও। মোদীর বক্তব্যের পরই বক্তব্য দেয়ার জন্য উঠে দাঁড়ান শচীন। কিন্তু বিরোধী দল কংগ্রেসের সদস্যরা তখন উঠেপড়ে লেগেছে মোদীর বক্তব্যের ব্যাখ্যা চাইতে। চেঁচিয়ে স্লোগান দিয়ে তারা তখন মোদীর নিন্দায় মুখর।
শচীন বারবার স্পিকারের কাছে আপিল জানানোর চেষ্টা করলেও কংগ্রেসের স্লোগানে তা হারিয়ে যায়। রাজ্যসভার সভাপতি এম ভেঙ্কায়াহ নাইডু তো বলেই বসেন, ‘আমরা খেলা নিয়ে আলোচনা করতে চাইছি, কিন্তু আপনাদের দেখি খেলোয়াড়ি মনোভাবই নেই!’
এরকম গন্ডোগোলের মধ্যে নিরুপায় হয়ে শচীনকে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়েছে ১০ মিনিট। পরে নিজের বক্তব্য না দিয়েই বসে পড়েন তিনি।
রাজ্য সভা এমপি অভিনেত্রী জয়া বচ্চন বলেছেন, “পুরো ঘটনাটি দেশের জন্য অত্যন্ত লজ্জাজনক।”
পার্লামেন্টের বাইরে এসে এ বিষয়ে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘বিশ্বমঞ্চে শচীন ভারতের মুখ উজ্জ্বল করেছে। এটা একটা লজ্জার ব্যাপার যে আজ তাকেই কথা বলতে দেয়া হয়নি। রাজ্যসভায় কি কেবল রাজনীতিবিদেরাই বক্তব্য রাখবে?’
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডিঃ / ক.আ।
Leave a Reply