
শনিবার সকাল ৯টার দিকে শেরপুর শহরের মাধবপুরে ফ্যামেলি নার্সিং হোমে মাথা জোড়া লাগা যমজ শিশুর জন্ম হয়েছে।
পৌর শহরের চাপাতলী এলাকার গরিব রিকশাচালক রুবেল মিয়ার স্ত্রী রেহেনা বেগম (২১) মাথা জোড়া লাগা ওই যমজ কন্যাশিশুর জন্ম দেন। শেরপুরের সিনিয়র গাইনী বিশেষজ্ঞ ডাক্তার আব্দুল গণি সিজারের মাধ্যমে সফলভাবে কোনো ধরনের জটিলতা ছাড়াই ওই মাথা জোড়া লাগা যমজ নবজাতককে ভূমিষ্ঠ করাতে সক্ষম হন। ওই যমজ শিশুর মা আরো কিছুটা সুস্থ হলেই উন্নত চিকিৎসার জন্য শিশু দুইজনকে খুব দ্রুতই ঢাকায় পাঠানো হবে বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন।
প্রসূতির স্বজনরা জানান, কয়েকদিন আগে শিশু দুইটির মাকে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে সেখানে পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর ওই নারীর গর্ভে এমন শিশু রয়েছে জানতে পেরে সেখানকার চিকিৎসকরা তাকে চিকিৎসা দিতে গরিমসি করলে ওই নারীর বাবা আমিনুল ইসলাম মেয়েকে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল থেকে ফেরত এনে শেরপুরের ফ্যামিলি নার্সিং হোমে ভর্তি করালে বিস্তারিত জেনে ওই নার্সিং হোমের স্বত্বাধিকারী জেলা বিএমএ সভাপতি ডা. এম এ বারেক তোতা ওই নারীর সিজারিয়ান অপারেশন করানোর প্রস্তুতি নেন। পরে গাইনী বিশেষজ্ঞ ডাক্তার আব্দুল গণি সিজারের মাধ্যমে সফলভাবে কোনো ধরনের জটিলতা ছাড়াই ওই মাথা জোড়া লাগা যমজ নবজাতককে ভূমিষ্ঠ করাতে সক্ষম হন।
ফ্যামিলি নার্সিং হোমের পরিচালক ডা. বুশরা আমেনা জানান, ওই যমজ শিশুর মার শারীরিক অবস্থা খুব ভালো নয়। দরিদ্র পরিবার। তাই এ মুহূর্তে তারা উন্নত চিকিৎসার জন্য বাইরে যেতে পারছে না। মা সুস্থ হলেই তাদের ঢাকায় পাঠানো হবে।
এবার এই দরিদ্র পরিবারটিকে অপেক্ষা করতে হবে। কেবল সময়ই বলতে পারে, এই অস্বাভাবিক হয়ে জন্ম নেয়া শিশু দুইটি স্বাভাবিক হয়ে পৃথিবীর আলো দেখতে পাবে কী না। নাহলে যে এদের মা’কে ভীষন কষ্টের সাগর পাড়ি দিতে হবে।
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডি :/ এম ইউ
Leave a Reply