
আগামীকাল ১৫ আগস্ট হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৩তম শাহাদতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস। ১৯৭৫ সালের এই দিনে স্বাধীনতা বিরোধী ঘাতকদের হাতে নিরমমভাবে নিহত হন তিনি।
এ উপলক্ষ্যে দেশের বিভিন্ন স্থানে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ সমন্বিত ও নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা দেবে বলে জানিয়েছেন ডিএমপির কমিশনার মো. আছাদুজ্জামান মিয়া।
১৫ আগস্ট পালন উপলক্ষে আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টায় ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে ‘ঢাকা মহানগরকে ঘিরে আইনশৃঙ্খলা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা’ সংক্রান্ত এক সংবাদ সম্মেলনে ডিএমপির কমিশনার এ কথা বলেন।
ডিএমপির কমিশনার বলেন, ‘১৫ আগস্টকে ঘিরে আমরা ব্যাপক সমন্বিত ও সুদৃঢ় নিরাপত্তার ব্যবস্থা নিয়েছি। নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা দিতে ডিএমপির পক্ষ থেকে নেওয়া হয়েছে কয়েক স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
ধানমন্ডি ৩২ নম্বর ও তার আশপাশের এলাকায় থাকবে সিসিটিভির পর্যাপ্ত ক্যামেরা। দুটি কন্ট্রোল রুম থেকে সার্বক্ষণিক সিসি ক্যামেরা মনিটরিং করা হবে। প্রতিটি প্রবেশ গেটে থাকবে আর্চওয়ে। প্রত্যেক দর্শনার্থীকে আর্চওয়ে ও নিরাপত্তা বেষ্টনীর মধ্য দিয়ে ভেতরে প্রবেশ করতে হবে। পোশাকে ও সাদাপোশাকে মোতায়েন থাকবে পর্যাপ্তসংখ্যক পুলিশ।
পুলিশের ও র্যাবের ডগ স্কোয়াড দিয়ে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর এবং ঢাকার বনানীর কবরস্থান সুইপিং করা হবে। আরও থাকবে ফায়ার টেন্ডার, অ্যাম্বুলেন্স ব্যবস্থা। তিনি বলেন, শোক দিবসের অনুষ্ঠানে ট্রলিব্যাগ, ব্যাকপ্যাক, টিফিন ক্যারিয়ার, ফ্লাক্স, ছুরি, চাকু, দাহ্য পদার্থ, গ্যাসলাইট, অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে আসা যাবে না।
যেসব রাস্তা নিয়ন্ত্রিত ও বন্ধ থাকবে: ১৫ আগস্ট ভোরবেলা থেকে অনুষ্ঠান শেষ না হওয়া পর্যন্ত ধানমন্ডি ২৭ নম্বর পূর্ব মাথা থেকে রাসেল স্কয়ার ও কলাবাগান হয়ে ধানমন্ডি ২ নম্বর রোড ক্রসিং পর্যন্ত (মিরপুর রোড) বন্ধ থাকবে।
এ ছাড়া প্রয়োজনে গাবতলীর দিক থেকে মিরপুর রোড হয়ে আসা পরিবহনগুলো মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ হয়ে বামে মোড় নিয়ে ফার্মগেটের দিকে, নিউমার্কেটমুখী গাড়িগুলোকে ধানমন্ডি ২৭ নম্বর পূর্ব মাথা থেকে ২৭ নম্বর রোড পশ্চিম মাথা হয়ে সাত মসজিদ রোড, ধানমন্ডি ২ নম্বর রোড, সিটি কলেজ হয়ে সায়েন্স ল্যাবরেটরির দিকে ডাইভারশন দেওয়া হতে পারে।
এদিন রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ শেষে ভেন্যু ত্যাগ করার পর সাধারণ জনগণ শ্রদ্ধা নিবেদন করতে আসবেন। এ সময় সাধারণ জনসাধারণের গাড়িগুলো রাসেল স্কয়ার থেকে ধানমন্ডি ৬ নম্বর রোডের উভয় পাশে এক লাইনে এবং রাসেল স্কয়ার থেকে পান্থপথ ক্রসিং পর্যন্ত উত্তর লেনে এক লাইনে গাড়ি পার্কিং করতে পারবে।
আগস্ট মাস পুরো জাতির জন্যে শোক এবং লজ্জার মাস। স্বাধীনতা এনে দেয়া জাতির গুটিকয়েক বিপথগামীদের হাতেই খুন হলে হলো জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে। এ লজ্জা সমগ্র জাতির।
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডি :/ এম ইউ
Leave a Reply