
মাঠে প্রতিদ্বন্দী না থাকলে মানুষ নিজেই হয়ে ওঠে নিজের প্রতিপক্ষ। নারায়নগঞ্জের হতাহতের ঘটনা এটিই প্রমাণ করলো।
গতকাল, বৃহস্পতিবার জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দূর্নীতি মামলার রায় দেয়া হয়। রায়ে খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদন্ডাদেশ দেন আদালত।
এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে, নারায়নগঞ্জের রূপগঞ্জে মাঠ দখল করা নিয়ে দুপক্ষের বিরোধ হয়। দু পক্ষেই আওয়ামীলীগের নেতা-কর্মীরা সক্রিয়। দুপুর বারোটার দিকে এমন ঘটনা ঘটে। ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ায় আহত হন প্রায় ত্রিশ জন। এর মধ্যে পুলিশ সদস্য রয়েছেন পাঁচ।
উপজেলা আওয়ামীলীগে দুটি পক্ষ রয়েছে। এক পক্ষের নেতৃত্বে গোলাম দাস্তগীর গাজী, সাংসদ সদস্য। অন্য পক্ষে রফিকুর ইসলাম রফিক। তিনি কায়েতপাড়ার ইউপি চেয়ারম্যান। এই দু পক্ষের মধ্যে বিরোধ নতুন নয়। বেশ অনেকদিন ধরেই এদের দ্বন্দ চলে আসছিলো।
খালেদা জিয়ার রায়কে কেন্দ্র করে মাঠদখলে মরিয়া হয়ে ওঠে দু পক্ষ। একসময় সংঘর্ষ বাঁধে। এতে নিহত হয় সুমন(৩০) নামের একজন।
বেলা এগারোটার সময়ই দু পক্ষ লাঠিসোঁটা নিয়ে মাঠে অবস্থান নেয়। দফায় দফায় সংঘর্ষ বাঁধে। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনের জন্য শটগান ও টিয়ার শেল ছোঁড়ে কয়েক শতাধিক।
ঢাকা মেডিকেল থেকে জানা গেছে, বেলা দেড়টার দিকে অ্যাম্বুলেন্সে করে তিনজনকে ও আরেকজন আলাদা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। চিকিৎসক পরীক্ষা নিরীক্ষা করে সুমনকে মৃত ঘোষণা করেন। তাঁর বাবার নাম মনু মিয়া। তাঁর বাড়ি উপজেলার রুপসীর গোবিন্দপুর এলাকায়। পুলিশ এই ঘটনায় গ্রেফতার করেছে বিশজনকে। কালাম (২৩), জয়নাল (৩২) ও শাকিল (২৪) এদের মধ্যে অন্যতম।
আহত জয়নাল বলেন, তারা সংসদ সদস্য গোলাম দস্তগীর গাজীর পক্ষের লোকজন। তারা যুবলীগ করেন। এ সময় কায়েতপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলামের লোকজন পুলিশ নিয়ে এসে গুলি করে। সুমনের মৃত্যু খবর নিশ্চিত করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ। এই সংঘর্ষে খুব বড় ক্ষয়ক্ষতি তেমন না হলেও, স্থানীয় আওয়ামীলীগ প্রশাসনের কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়বে- এটা নিশ্চিত করেই বলা যায়।
Leave a Reply