রাজধানীর মহানগর নাট্যমঞ্চে শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে আওয়ামী যুবলীগ আয়োজিত এক আলোচনা সভায় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি আগামী নির্বাচনে অংশ গ্রহণ না করলেও নির্বাচন থেমে থাকবে না। নির্বাচন হবে এবং গণতন্ত্রের ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকবে। তিনি বলেন, আপনারা নির্বাচনে যাবেন না, না গেলে না যান; কিন্তু সংবিধান অনুযায়ী ঠিকই নির্বাচন হবে। বিএনপি নির্বাচনে অংশ নিলে নির্বাচন পূর্ণাঙ্গ রূপ পাবে। কিন্তু অংশ না নিলে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ার মতো ঘটনা ঘটবে না। গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ার ফাঁদ তৈরি করেছিল। এবার আর কেউ বিএনপির পাতা ফাঁদে পা দেবে না।
বিএনপি নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন এবং নিরপেক্ষ বিচার বিভাগ চায় না। তারা চায় জাতীয়তাবাদী নির্বাচন কমিশন এবং জাতীয়তাবাদী বিচার বিভাগ।
তিনি বলেন, নির্বাচনের আগেই বিএনপি তাদের বিজয়ী করার গ্যারান্টি এবং আইন আদালতের তোয়াক্কা না করে বিএনপির নেতা-নেত্রীদের মুক্তি চায়। কিন্তু গণতান্ত্রিক রাজনীতিতে তাদের এ ধরনের দাবি কখনো পূরণ হবে না।
বিএনপির আন্দোলনের ডাক প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, খালেদা জিয়া জেলে যাওয়ার পর আন্দোলনে সাগরের গর্জন তো দূরের কথা নদীর ঢেউ পর্যন্তও দেখা গেল না। ৯ বছরে যারা আন্দোলন করতে পারেনি, ছয় মাসে আন্দোলন করা তাদের পক্ষে সম্ভব নয়। তিনি বলেন, আন্দোলন করতে যে নৈতিক সাহস ও সততার প্রয়োজন তা বিএনপির মধ্যে নেই। এই সততা ও সাহস রয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার দল আওয়ামী লীগের।
ওবায়দুল কাদের বলেন, যারা মহান মুক্তিযুদ্ধের রণধ্বনিকে স্বীকার করে না, বঙ্গবন্ধুকে স্বাধীনতার শত্রু হিসেবে আখ্যা দেয় এবং যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের সময় রহস্যজনকভাবে নীরবতা পালন করে তাদের সাথে আওয়ামী লীগের ওয়ার্কিং আন্ডারস্ট্যান্ডিং সম্ভব নয়। সুশীল সমাজের কিছু সদস্যের প্রতি ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, অনেকে অনেক সুন্দর সুন্দর পরামর্শ দেন? বিএনপিকে নির্বাচনে আনার বিষয়ে সরকারের উদ্যোগ সম্পর্কে জানতে চান, ঐক্যের কথা বলেন। তিনি বলেন, বেগম খালেদা জিয়াকে গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে আলোচনায় বসার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। সে আলোচনায় খালেদা জিয়া সাড়া দিলে আজ ওয়ার্কিং আন্ডারস্ট্যান্ডিংয়ের ক্ষেত্রে নবতর সূচনা হতো।
আওয়ামী যুবলীগের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ওমর ফারুক চৌধুরীর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য দেন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মো: হারুনুর রশিদ, প্রেসিডিয়াম সদস্য মো: মুজিবুর রহমান চৌধুরী প্রমুখ।
সামনেই আসন্ন জাতীয় নির্বাচন। বিএনপি নির্বাচনের মাঠ থেকে সরে যাবে না, এমনটাই বলেছে। দেশের জনগনেরও প্রত্যাশা- ফলাফল যা-ই হোক, সকল দলের অংশগ্রহনে গ্রহনযোগ্য একটি নির্বাচন দেখবে দেশ।
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডি :/ এস এস
Leave a Reply