
সারাদেশের মধ্যে সবজি উৎপাদনে প্রথম হয়েছে রাজশাহী। প্রধানত সবজি উৎপাদনে জমির পরিমাণ বৃদ্ধি ও হেক্টর প্রতি সবজি উৎপাদন বৃদ্ধি পাওয়ার কারণেই সারাদেশের মধ্যে সবজি উৎপাদনে শীর্ষ জেলা হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে রাজশাহী অঞ্চল। কৃষি মন্ত্রণালয় গত অর্থবছরে হেক্টর প্রতি সবজি উৎপাদনের
পরিমাণের ভিত্তিতে দেশের মধ্যে শীর্ষ জেলা নির্বাচিত করে রাজশাহীকে। কৃষি বিভাগের দেয়া তথ্য মতে, ২০১৫-১৬ অর্থবছরে রাজশাহী জেলায় হেক্টর প্রতি সবজি উৎপাদনের পরিমাণ ছিলো ১৬ দশমিক ৬৯ মেট্রিক টন। ওই অর্থবছরে ২১ হাজার ৭২৩ হেক্টর জমিতে মোট সবজি উৎপাদন হয় ৩ লাখ ৬২ হাজার ৫৬৪ মেট্রিক টন। আর ২০১৭-১৮ অর্থবছরে জমির পরিমাণ ও উৎপাদন দুই-ই বেড়েছে। দুই বছরের ব্যবধানে হেক্টর প্রতি সবজি উৎপাদন বেড়েছে ১
দশমিক ৪৩ মেট্রিক টন। গত দুই বছরের তুলনায় বেড়েছে জমির পরিমাণও। গত দুই বছরে জমির পরিমাণ বেড়েছে ৫১২ হেক্টর। অর্থাৎ গত অর্থবছরে রাজশাহীতে ২২ হাজার ২৩৫ হেক্টর জমিতে সবজি উৎপাদন হয়েছে ৪ লাখ ২ হাজার ৭৯০ মেট্রিক টন। গড় ফলন ১৮ দশমিক ১২ মেট্রিক টন। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক শামসুল হক বলেন, সবজি চাষের জমির পরিমাণ বৃদ্ধি ও হেক্টর প্রতি সবজির উৎপাদন বৃদ্ধির কারণে কৃষি
মন্ত্রণালয় সারা বাংলাদেশের মধ্যে রাজশাহীকে সবজি উৎপাদনে প্রথম হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। আর এ স্বীকৃতি মিলেছে আলুর উৎপাদন ব্যতিতই। আলু যুক্ত করা হলে গড় উৎপাদন আরো বৃদ্ধি পাবে।বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রাজশাহীর আবহাওয়া শাকসবজি ও ফলমূল উৎপাদনের জন্য খুবই উপযোগী। আর কৃষকরাও সবজি উৎপাদনের বিষয়ে খুবই সচেতন। তারা জমিতে সুষম মাত্রায় সার ব্যবহার করেন। পোকামাকড় দমনের বিষয়েও সচেতন তারা।
শামসুল হক বলেন, কৃষকরা দানাজাতীয় শস্যের চেয়ে সবজি ও ফলমূল উৎপাদনের দিকে বেশি ঝুঁকছেন। কারণ এই দুটোই লাভজনক। তাই কৃষকরা সবজি চাষে ঝুঁকছেন। আবার এ অঞ্চলের আবহাওয়াও ফসল উৎপাদনে সহায়ক। কৃষকরাও সচেতন থাকায় সারাদেশের মধ্যে সবজি চাষে প্রথম হয়েছে রাজশাহী। তবে উৎপাদনে শীর্ষে থাকলেও অনেক সময় কৃষকরা তাদের সবজির ন্যায্য দাম পাওয়া থেকে বঞ্চিত হন। অনেক সময় চাহিদার তুলনায় বাজারে বেশি
সরবরাহ থাকায় দাম কম পান। এজন্য কৃষকরা সবজি সংরক্ষণের দাবি জানিয়েছেন। ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দও বলেছেন, সবজি যদি সংরক্ষণ করে দেশের বিভিন্নস্থানে রফতানি করা যায় তাহলে কৃষকরা ন্যায্য দাম পাবেন।
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডি:/আমিরুল ইসলাম
Leave a Reply