
এবার সরকারি স্কুলে প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা দুই বছর করার চিন্তা-ভাবনা চলছে। অর্থাৎ সরকারি স্কুলে চার বছরেই ভর্তির সিস্টেম চালু হচ্ছে।
আর এজন্য শিশু শিক্ষার্থীদের জন্য কিন্ডারগার্টেনের আদলে নার্সারি চালু করা হবে। যদিও এর শিক্ষাপদ্ধতি কিন্ডারগার্টেনের ‘কঠিন’ শিক্ষাযন্ত্র থেকে সম্পূর্ণ আলাদা। পাশাপাশি শিক্ষা খাতে অনিয়ম-দুর্নীতি রুখতে তৎপর হচ্ছে দুদক।

জানা গেছে, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রথম শ্রেণির আগেও একটি শ্রেণি রয়েছে—‘প্রাক-প্রাথমিক শ্রেণি’। ভর্তি হওয়ার বয়স পাঁচ বছর। তবে আজকাল অনেক অভিভাবক তিন বা চার বছর বয়সেই বাচ্চাকে স্কুলে ভর্তি করাতে চান। সে ক্ষেত্রে শিশুকে দিতে হয় বেসরকারি কিন্ডারগার্টেনে।
একবার কিন্ডারগার্টেনে ভর্তি হয়ে গেলে শিশু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সাধারণত আর ফিরে আসে না। এই ধারায় বদল আনতে চাইছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা কর্তৃপক্ষ। এ ক্ষেত্রে প্রাক-প্রাথমিককে ‘কেজি বা শিশু শ্রেণি’ ধরে এর আগে আরেকটি শ্রেণি ‘নার্সারি চালুর পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়েছে। নার্সারিতে ভর্তির সর্বনিম্ন বয়স হতে হবে চার বছর। অর্থাৎ শিশু কেজিতে পড়বে পাঁচ বছর বয়সে এবং প্রথম শ্রেণিতে ছয় বছর বয়সে।

সূত্র জানায়, প্রধানমন্ত্রী প্রাক-প্রাথমিকে নতুন শ্রেণি খোলার অনুমোদন দিলে ২০২০ সাল থেকে সীমিত পরিসরে নার্সারি শ্রেণি চালু করা হবে, পরে বাস্তবায়ন হবে সব সরকারি প্রাথমিকে।

এ ব্যাপারে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব হিসেবে দায়িত্বপ্রাপ্ত মো. আকরাম-আল-হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, জাতীয় শিক্ষানীতিতে প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা দুই বছর করার কথা বলা হয়েছে। মূলত শিক্ষানীতি বাস্তবায়নের লক্ষ্য নিয়েই প্রাক-প্রাথমিকে নতুন একটি শ্রেণি চালুর পরিকল্পনা করা হয়েছে।
‘এ ব্যাপারে পলিসি তৈরি করার জন্য প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এরপর তা প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠানো হবে। তিনি অনুমোদন দিলেই আমরা কাজ শুরু করা হবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।’
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডি:/আমিরুল ইসলাম
Leave a Reply