
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দূর্নীতি মামলার রায়ে, খালেদা জিয়ার কারাবাসের বেশ ক’দিন পেরিয়ে গেছে। তাঁর আইনজীবীরা উচ্চতর আদালতে আপিল করবার জন্যে অপেক্ষা করেছিলেন। এবার সে অপেক্ষার পালা শেষ হলো। মঙ্গলবার তাঁরা আপিল দায়ের করেন। এর আগে, সোমবার বিকেলে ১১৬২ পৃষ্ঠার প্রত্যয়িত রায়ের অনুলিপি তাঁরা হাতে পান। রায় ঘোষনার প্রায় ১১ দিন পর এই কপি তাঁদের হাতে আসে।
ফেব্রুয়ারির আট তারিখে এই মামলার রায় ঘোষনা করা হয়। সেই রায়ে খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদন্ড এবং তাঁর বড় ছেলে তারেক রহমানসহ পাঁচজনকে দশ বছরের করে কারাদন্ড দেয়া হয়। অনুলিপি পাবার পর, খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা আলোচনা পর্যালোচনা করবেন বলে জানানো হয়। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী বলেন, রায়ের অনুলপি দুদকে পাঠিয়ে দেয়া হবে। তারপর তাঁদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পদক্ষেপ নেয়া হবে।
অনুলিপিতে বলা হয়, খালেদা জিয়া সহ অপরাধীগন রাষ্ট্রীয় অর্থনৈতিক অপরাধী হিসেবে গন্য হবেন। সেখানে আরো বলা হয়, সামাজিক অবস্থান ওর বয়স বিবেচনায় শাস্তির মাত্রা কমিয়ে দেয়া হয়েছে। আত্মসাৎ কৃত টাকার পরিমাণ বিবেচনায় শাস্তি দেয়া হয় নি।
খালেদা জিয়ার কারাবাস সম্পর্কে দায়িত্বশীল একাধিক কর্মকর্তার সাথে কথা বলে কিছু তথ্য পাওয়া যায়। তাঁকে রাখা হয়েছে রাজধানীর নাজিমুদ্দিন রোডের পুরোনো কেন্দ্রীয় কারাগারে।
তাঁর কারগারে যাবার পনেরো দিন আগে থেকেই সেখানে ‘ডে-কেয়ার’ এর দুটি কক্ষ ভি আইপি দের থাকবার জন্য উপযোগী করে তোলা হয়। আগে সেই কক্ষ দুটিতে বন্দীদের সন্তান রাখা হতো। খালেদা জিয়ার জন্য একটি কক্ষে লাগানো হয় নতুন টাইলস ও সিলিং ফ্যান। বসানো হয় নতুন চেয়ার, টেবিল, খাট। জানা যায় বিটিভি দেখে, পত্রিকা পড়ে সময় কাটান তিনি। সকালে তিনি খান রুটি ও সবজি। দুপুরের খাবার খান বিকেল চারটা থেকে সাড়ে চারটার দিকে।
বিভিন্ন দিন বিভিন্ন মাছ খেতে দেয়া হয় তাঁকে। ভাত, সবজি, রুই বা আইড় মাছ। রাতে দেয়া হয় রুটি, মুগ ডাল এবং সবজি। কখনো রাতে দেয়া হয় ভাত। তাঁর সার্বক্ষণিক চিকিৎসা ও নিরাপত্তায় নেয়া হয়েছে বিশেষ ব্যবস্থা। তাঁকে দেয়া খাবার পরীক্ষা নিরীক্ষা করে দেয়া হয় চিকিৎসকের মাধ্যমে। চারজন নারী কারারক্ষী সবসময়ই তাঁর জন্য নিয়োজিত থাকেন। তবে খালেদা জিয়া তাঁর কোনো চাহিদার কথা প্রকাশ করেন না। কেউ এসে জিজ্ঞেস করলে জবাব দেন, প্রয়োজন হলে ডেকে পাঠাবেন।
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডি :/ ও এস
Leave a Reply