
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সহিংসতায় সারাদেশে অন্তত ১৮ জন নিহত হয়েছেন।
চট্টগ্রামের পটিয়া ও বাঁশখালী উপজেলায় ২ জন মারা গেছেন।
আওয়ামী লীগ ও বিএনপি সমর্থকদের সংঘর্ষে পটিয়ায় আবু সাদেক নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন।
বাঁশখালী উপজেলার বড়ইতলি এলাকায় আহমেদ কবির নামে এক ব্যক্তি আওয়ামী লীগ ও বিএনপির সংঘর্ষে নিহত হয়েছেন।
কক্সবাজারে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির সংঘর্ষে এক যুবলীগ কর্মী নিহত হয়েছেন।
জেলার পেকুয়া উপজেলার মাতবরপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নির্বাচনী কেন্দ্রে এক সংঘর্ষে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে আবদুল্লাহ আল ফারুক নামে এই যুবক নিহত হন।
রাঙ্গামাটির কাউখালী উপজেলায় আওয়ামী লীগ ও বিএনপির সংঘর্ষে এক যুবলীগ নেতা নিহত হয়েছেন।
নোয়াখালীতে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি-জামায়াত কর্মীদের সংঘর্ষে মো. নুরুন্নবী নামে এক আনসার সদস্য নিহত হয়েছেন। বেগমগঞ্জ উপজেলার তুলারাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নির্বাচনী কেন্দ্রে এই মৃত্যুর ঘটনা ঘটে বলে জানান নোয়াখালীর পুলিশ সুপার ইলিয়াস শরীফ।
নরসিংদীর শিবপুর উপজেলার কুন্দরপাড়া নির্বাচনী কেন্দ্রে সহিংসতায় আওয়ামী লীগের পোলিং এজেন্ট মো. মিলন মিয়া (৪৫) নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন উপজেলার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম আজাদ।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার রাজঘর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নির্বাচনী কেন্দ্রে আওয়ামী লীগ কর্মী ইসরাইল মিয়া (১৮) এক সংঘর্ষে নিহত হয়েছেন।
রাজশাহীতে এক আওয়ামী লীগ কর্মীসহ দু’জন নির্বাচনী সহিংসতায় নিহত হয়েছেন।
জেলার সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার আবদুর রাজ্জাক জানান, মোহনপুর উপজেলার পাকুরিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নির্বাচনী কেন্দ্রে মেরাজ আলী নামে এক ব্যক্তি আওয়ামী লীগ ও বিএনপি প্রার্থীদের সমর্থকদের সংঘর্ষে নিহত হন।
এছাড়া তানোর উপজেলার মোহাম্মাদপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে ক্ষমতাসীন দল ও বিএনপির আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে এক আওয়ামী নেতা নিহত হন।
নিহতের নাম মোদাসসের আলী (৪০) বলে জানিয়েছেন সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার আবদুর রাজ্জাক।
আওয়ামী লীগ ও বিএনপি উভয়েই নিহতকে তাদের কর্মী বলে দাবি করেছে।
গাজীপুরের হরিনাল এলাকায় লিয়াকত আলী (৪৪) নামে এক ছাত্রলীগ কর্মী স্থানীয় ডেপুটি কমিশনারের কার্যালয়ের কাছে অজ্ঞাত আততায়ীর দ্বারা নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন মেট্রোপলিটন সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সমীর সুত্রধর।
সিলেটের বালাগঞ্জে নির্বাচনী কেন্দ্রের বাইরে এক ছাত্রদল নেতা নিহত হয়েছেন। আজিজপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বাইরে বিকেল ৪টা নাগাদ বালাগঞ্জ ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক ফাহিম আহমেদ সোহেল গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন।
বগুড়ায় নির্বাচনী সহিংসতায় এক আওয়ামী লীগ কর্মী নিহত হয়েছেন। বগুড়া-৪ আসনে (বগুড়া-নন্দীগ্রাম) কাহালু উপজেলায় আজিজুল ইসলাম (৩০) নামক এই ব্যক্তি নিহত হন।
কাহালু উপজেলার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শওকত কবির ও পাইকড় ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মিঠু চৌধুরী ঢাকা ট্রিবিউনকে বলেন, বিএনপি কর্মীরা এই হামলার জন্য দায়ী, যার ফলে আজিজুল মারা যান ও ইউপি মেম্বার নাজমুল হুদা দোয়েল আহত হন।
লালমনিরহাট-৩ আসনের খালাইঘাট ওয়ার্ড-২ এলাকায় তোজাম্মেল হোসেন (৬০) নামে এক ভোটার ছুরিকাঘাতে নিহত হয়েছেন। বেলা সাড়ে ৩টার দিকে পাগলাঘাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নির্বাচনী কেন্দ্রে ভোট দিতে গেলে কেন্দ্রের বাইরে তার ওপর হামলা হয়।
নাটোরের নলডাঙ্গা উপজেলার সমসখলসী গ্রামে আওয়ামী লীগ সমর্থক রতন ফকিরের ছুরিকাঘাতে তার চাচা হোসেন আলী নিহত হয়েছেন। রতনের স্ত্রী বিএনপিতে ভোট দিলে রতন ও হোসেনের মধ্যে তর্ক শুরু হয়।
টাঙ্গাইলের গোপালপুরের নগদা শিমলা ইউনিটের বিএনপি সভাপতি হাজী আবদুল আজিজ শনিবার থেকে নিখোঁজ ছিলেন। তার মৃতদেহ রবিবার (৩০) উদ্ধার করা হয়।
কুমিল্লায় নির্বাচন চলাকালে দুই ব্যক্তি নিহত হয়েছেন যাদের মধ্যে একজন পুলিশের গুলিতে নিহত হন।
জেলার নাঙ্গলকোট উপজেলার সন্দাইল গ্রামের অধিবাসী বাচ্চু মিয়া (৪৫) রবিবার সকালে মুরগাঁও নির্বাচনী কেন্দ্রের বাইরে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি সমর্থকদের মধ্যকার সংঘর্ষে নিহত হন বলে জানিয়েছেন উপজেলার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আশরাফ। স্থানীয়রা জানান তিনি বিএনপি সমর্থক ছিলেন। কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়।
জেলার চান্দিনা উপজেলার মুরাদনগর গ্রামে পশ্চিম বলেশ্বর প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র থেকে ব্যালট ছিনতাইকালে পুলিশের গুলিতে মুজিবুর রহমান (৩৫) নামে এক ব্যক্তি নিহত হন।
যশোরের অভয়নগর উপজেলায় বিএনপির পোলিং এজেন্ট শামসুর রহমান মোল্লাকে (৭৫) পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে।
Leave a Reply