
সরকারি বাহিনীগুলো কোনো রাসায়নিক হামলা চালায়নি দাবি করে সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম বলেছে, দৌমার বিদ্রোহীরা পতনের দ্বারপ্রান্তে রয়েছে এবং মিথ্যা সংবাদ ছড়াচ্ছে।
চিকিৎসা ত্রাণ সংগঠন সিরিয়ান আমেরিকান মেডিক্যালি সোসাইটি (এসএএমএস) বলেছে, দৌমায় চালানো রাসায়নিক হামলায় ৩৫ জন নিহত হয়েছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, তারা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে এবং রাসায়নিক ব্যবহৃত হলে এর জন্য রাশিয়াকে দায়ী করা উচিত।
রাসায়নিক হামলার প্রতিবেদনগুলো স্বাধীনভাবে যাচাই করা যায়নি বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। ফেব্রুয়ারিতে অভিযান শুরুর পর সিরিয়ার সরকার পূর্ব গৌতার প্রায় সব এলাকা পুনরুদ্ধার করেছে, বাকি আছে শুধু জইশ আল ইসলাম নিয়ন্ত্রিত দৌমা।
বিদ্রোহীদের সঙ্গে আলোচনার জন্য দৌমায় কয়েকদিন হামলা বন্ধ রেখেছিল সিরিয়ার সরকারি বাহিনী। আলোচনার মাধ্যমে জইশ আল ইসলামের যোদ্ধারা দৌমা ছাড়তে রাজি না হওয়ায় শুক্রবার বিকাল থেকে শহরটিতে ফের ব্যাপক বিমান হামলা শুরু করে সরকারি বাহিনীগুলো।
যুক্তরাজ্যভিত্তিক পর্যবেক্ষক সংস্থা সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস জানিয়েছে, দৌমায় সরকারি বাহিনীর ফেলা প্রচলিত বোমার ধোঁয়ায় শ্বাসরুদ্ধ হয়ে ১১ জন মারা গেছেন, আরো ৭০ জন শ্বাসকষ্টে ভূগছেন।
অবজারভেটরির পরিচালক রামি আব্দুলরহমান জানিয়েছেন, হামলায় রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহৃত হয়েছে কী-না তিনি নিশ্চিত নন।যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক এসএএমএস জানিয়েছে, একটি ক্লোরিন বোমা দৌমা হাসপাতালে আঘাত করেছে, এতে ছয় জন নিহত হয়েছেন। দ্বিতীয় আরেকটি হামলায় নার্ভ এজেন্টসহ ‘মিশ্র এজেন্ট’ ব্যবহার করা হয়েছে যেটি নিকটবর্তী ভবনগুলোতে আঘাত হেনেছে।
এসএএমএসের ভাইস প্রেসিডেন্ট বাসেলে টারমানিনি রয়টার্সকে জানিয়েছেন, রাসায়নিক হামলায় মোট ৩৫ জন মারা গেছেন। “আমরা জাতিসংঘ, যুক্তরাষ্ট্র সরকার ও ইউরোপীয় সরকারগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ করছি,” টেলিফোনে বলেছেন তিনি।
রাসায়নিক হামলায় ১০০ জন নিহত হয়েছেন বলে জইশ আল ইসলামের রাজনৈতিক কর্মকর্তা দাবি করেছেন। সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা এসএএনএ এক সরকারি সূত্রের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেছে, দৌমার বিদ্রোহী গোষ্ঠী জইশ আল ইসলাম ‘রাসায়নিক হামলার মিথ্যা প্রচারণা ছড়িয়ে সিরিয়ান আরব আর্মির অগ্রগতি রুখতে ব্যর্থ প্রচেষ্টা চালাচ্ছে’।
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডি :/ এস এস
Leave a Reply