
প্রতিবছরই বরষামৌসুমে বন্যায় প্লাবিত হয় দেশের নিম্নাঞ্চল। এতে ক্ষয়ক্ষতি হয় জনজীবনের, দুর্ভোগে পড়েন সাধারন মানুষ।
এবারও উজান থেকে আসা পাহাড়ি ঢল ও অবিরাম ভারি বর্ষণএ সুরমা নদীর পানি বেড়ে গেছে। প্লাবিত হয়েছে সুনামগঞ্জ শহরের বেশ কয়েকটি এলাকার সড়ক।
মঙ্গলবার গিয়ে দেখা যায়, শহরের বড়পাড়া, তেঘরিয়া, মধ্যবাজার এবং লঞ্চঘাট এলাকার নদী তীরবর্তী সড়কে পানি উঠে গেছে। ফলে যানচলাচল বন্ধ হয়ে গেছে বেশ কয়েকটি এলাকায়।
দুপুর ২টা থেকে সুরমা নদীর পানি শহরের ষোলঘর পয়েন্ট দিয়ে ৪৮ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
এদিকে, সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার সুরমা ইউনিয়নের শরীফপুর গ্রামের সড়কে, ছাতক জাউয়াবাজার ইউনিয়নের বেশির ভাগ গ্রামের সড়কে এবং দোয়ারাবাজার উপজেলার শরিফপুরের সড়কটি ডুবে গেছে। বন্ধ হয়ে গেছে যান চলাচল।
এ ছাড়া দিরাই, জগন্নাথপুর ও শাল্লা উপজেলার আরো বেশ কিছু নিচু এলাকা প্লাবিত হয়েছে। এ ছাড়া তাহিরপুর আলাকার সড়কে পানি উঠে যানচলাচল ব্যাহত হয়।
জাউয়াবাজার এলাকার গণিপুর গ্রামের কাজী আশিক মিয়া জানান, জাউয়াবাজার এলাকার আশপাশের বেশ কিছু গ্রামের সড়কে, এমনকি গণিপুর গ্রামের হাওরের পাশের কিছু কাঁচা ঘরেও পানি উঠে গেছে।
সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) গেজ মিটার রিডার নাজমা আক্তার জানান, সুরমা নদীর পানি বেলা ১১টায় ষোলঘর পয়েন্ট দিয়ে ৪০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হলেও দুপুর ২টার দিকে তা ৪৮ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। গতকাল সকাল ৬টা থেকে আজ সকাল ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় সুনামগঞ্জে ৩৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
টানা বর্ষণের কারনে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছে। এই সময়ে বন্যা দুর্গত এলাকায় নিরাপদ ও বিশুদ্ধ খাবার পানি সরবরাহের ব্যবস্থা করা প্রয়োজন। তা না হলে বিভিন্ন পানিবাহিত রোগ মহামারী আকারে ছড়িয়ে পড়ার আশংকা থাকে।
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডি :/ এম ইউ
Leave a Reply