
মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখানের ছাত্রী সেতু মণ্ডল (১৫) অপহরণ, ধর্ষণ ও আত্মহত্যার প্ররোচনায় অভিযুক্ত মূল আসামি হযরত আলী ওরফে সজলকে গ্রেফতার করে আদালতে প্রেরণ করেছে পুলিশ।
শনিবার ভোরে উপজেলার কুচিয়ামোড়া থেকে সিরাজদিখান থানার এসআই হাসান আক্তার তাকে গ্রেফতার করেন। শনিবার রাতেই তাকে কোর্টে প্রেরণ করা হয়।
সজল বরিশালের মেহেদীগঞ্জ উপজেলার উনানিয়া গ্রামের আব্দুল মজিদ সরদারের ছেলে। তিনি আদালতে ফৌজদারি কার্যবিধি আইনের ১৬৪ ধারায় সেতু মণ্ডল অপহরণ, ধর্ষণ ও আত্মহত্যার প্ররোচনার দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সিরাজদিখান থানার এসআই হাসান আক্তার জানান, শনিবার রাতে সজলকে মুন্সীগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তৌহিদ আল আজাদের কাছে হাজির করা হয়। তিনি তার খাস কামরায় ১৬৪ ধারায় সজলের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ড করেন।
সজল ম্যাজিস্ট্রেটকে জানান, ঘটনার দিন ১০ এপ্রিল স্কুলে যাওয়ার আগে তার সঙ্গে কয়েক বার ফোনে কথা বলেন সেতু মণ্ডল। পরে সিরাজদিখানের গোয়ালখালী এলাকা থেকে ঢাকার শাখারী বাজার এলাকায় যান তারা। সেখানে একটি মন্দিরে গিয়ে নিজের ডান হাতের বৃদ্ধা আঙ্গুল কেটে রক্ত দিয়ে সেতুর কপালে শিদুর পরিয়ে দেন সজল। এরপর তাকে বিয়ে করার আশ্বাস দেন। এছাড়া তাকে নানা রকম প্রতিশ্রুতিও দেন। পরে ঢাকার সদরঘাট থেকে একটি লঞ্চের কেবিন ভাড়া নিয়ে সজলের গ্রামের বাড়ির বরিশালের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন তারা। সেই রাতেই লঞ্চের কেবিনে সেতুকে কয়েক দফা ধর্ষণ করেন সজল।
বরিশাল পৌঁছানোর পর আবার পুনরায় ভোর রাতে অপর একটি লঞ্চে করে ঢাকা চলে আসেন তারা। পরের দিন ১১ এপ্রিল ঢাকার কেরানীগঞ্জ উপজেলার গোলামবাজার পুলিশ ক্যাম্পের কাছাকাছি সেতুকে ফেলে পালিয়ে যান সজল। গোলামবাজার পুলিশ সেতুকে উদ্ধার করে তার বাড়িতে খবর দিলে সেখান থেকে সেতুকে নিয়ে আসে তার পরিবার।
১৭ এপ্রিল গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন সেতু। তাকে উদ্ধার স্বজনরা মিডফোর্ট হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার আগেই মারা যান তিনি।
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডি:/আমিরুল ইসলাম
Leave a Reply