
বান্দরবানে তমব্রু সীমান্তে মিয়ানমানের বাড়তি সেনা সদস্য মোতায়েন ও অস্ত্রশস্ত্র বৃদ্ধি করার ঘটনা কে নিয়মিত টহলের অংশ বলে দাবি করেছে মিয়ানমার। তমব্রু সীমান্তে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে গুলির ঘটনা কে পুরোপুরি অস্বীকার করেছে তারা।
গতকাল শুক্রবার বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম সীমান্তের সীমান্তের জিরো পয়েন্টে বর্ডার গার্ড অব বাংলাদেশ বিজিবি ও মিয়ানমারের বর্ডার গার্ড পুলিশের মধ্যে দীর্ঘ দেড় ঘন্টাব্যাপী এক পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। উক্ত পতাকা বৈঠকের সময় বিজিবির পক্ষ থেকে সেনা সমাবেশ ও গুলির বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে মিয়ানমারের বিজিপি এ সকল দাবি করেন। সীমান্তে দুই বারের গুলি করার অভিযোগও অস্বীকার করেছে তারা। বাংলাদেশ সীমান্তরক্ষী বাহিনী সূত্রে জানা গেছে,বাংলাদেশের ভিতরে নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম সীমান্তে জিরো পয়েন্টের মেত্রী সেতুর নিকটে পতাকা বৈঠক টি সাড়ে তিনটায় শুরু হয়ে চলে পৌনে পাঁচ টা পর্যন্ত। এ সময় বিজিবির পাঁচ সদস্যের দলকে নেতৃত্ব দেন কক্সবাজারের ৩৪ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্ণেল মঞ্জুরুল হাসান খান। অপর দিকে মিয়ানমারের বিজিপির পাঁচ সদস্যদের দলকে নেতৃত্বব দেন মংডু জেলার ১ নং ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক অং সো।
এই পতাকার বৈঠকের বিষয়ে একটি সূত্র হতে জানা যায়, গত কয়েক দিন ধরে সীমান্তে আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করে বিপুল সংখ্যক সেনা সমাবেশ ঘটিয়েছে সে বিষয়ে বিজিবির পক্ষ থেকে প্রশ্ন করা হয়। এ ছাড়া সীমান্তে গুলি করার ঘটনার বিষয়েও তাদের কাছে জানতে চাওয়া হয়। এ সকল প্রশ্নের জবাবে বিজিপি দলের নেতা অং সো বলেন,নিয়মিত টহলের অংশ হিসেবে সীমান্তে সেনাবাহিনী টহল দিচ্ছে। সীমান্তে মিয়ানমার নতুন করে কাঁটাতারের বেড়া দিচ্ছে। সংস্কার করছে সীমান্ত সড়ক। সেখানে পুলিশও আছে। এ নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার কারণ নেই।
সীমান্তে গুলি করার বিষয়ে জানতে চাইলে তারা গুলি করার বিষয় টি পুরোপুরি অস্বীকার করেন এবং বলেন যে তারা গুলি চালান নি বরং জিরো পয়েন্টে অবস্থান নেওয়া রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফেরত নেওয়ার জন্য প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন।
পতাকা বৈঠক শেষে বাংলাদেশ পক্ষে বিজিবি অধিনায়ক মঞ্জুরুল হাসান খান বলেন,” বৈঠকে সীমান্তে ফাঁকা গুলি ছোড়ার কথা অস্বীকার করেছে বিজিপি। সীমান্তে অতিরিক্ত সেনা সমাবেশের বিষয়টি নিয়মিত টহলের অংশ বলে দাবি করেছে তারা। বৈঠকে শূন্যরেখায় আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের আবারও তাঁদের দেশে ফিরিয়ে নেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হয়। কিন্তু কখন তাদের ফেরত নেওয়া হবে তা নির্দিষ্ট করে জানায়নি বিজিপি।”
উপস্থিত সাংবাদিকদের তিনি আরো বলেন, ‘ আমরা মিয়ানমারের কাছে সীমান্তে সেনাসমাবেশ এবং গুলি ছোড়ার ব্যাখ্যা দাবি করি। এ সময় তারা গুলি ছোড়ার কথা অস্বীকার করে। আর সেনাসমাবেশের বিষয়টি নিয়মিত টহলের অংশ বলে জানায়। এ ছাড়া নির্মাণাধীন সীমান্ত সড়ক এবং অভ্যন্তরীণ সড়কের কাজেও কিছু সেনা সীমান্তবর্তী এলাকায় নিয়োজিত রয়েছে বলে জানায় তারা।’
পতাকা বৈঠকে এ ছাড়াও সীমান্তে চোরা চালান বন্ধ ও সীমান্ত পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার বিষয়ে কথা হয়।
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডি :/ এস এস
Leave a Reply