
সৌদি আরবে বাংলাদেশের সৈন্য মোতায়েন সংক্রান্ত কোনও চু্ক্তি হয়নি বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমিন। তিনি বলেন, দু’দেশের মধ্যে প্রতিরক্ষা বিষয়ক একটি সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে। এই স্মারকে তৃতীয় কোনও পক্ষের বিরুদ্ধে কোনও ধরনের পদক্ষেপ না নেওয়ার দৃঢ় প্রত্যয় আছে। এই সমঝোতা স্মারকের ফলে দেশের সংবিধানের ২৫ অনুচ্ছেদের লঙ্ঘনের প্রশ্নই আসে না।’
রবিবার (১০ মার্চ) জাতীয় সংসদে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আনা ধন্যবাদ প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কথা বলেন। এর আগে গত ১৪ ফেব্রুয়ারি সৌদি আরবের সঙ্গে প্রতিরক্ষা চু্ক্তির বিরোধিতা করে সংসদে বক্তব্য দেন ওয়ার্কার্স পার্টির রাশেদ খান মেনন ও জাতীয় পার্টির ফখরুল ইমাম। তারা বলেছিলেন, ‘এই চুক্তি সংবিধানের ২৫ অনুচ্ছেদের লঙ্ঘন।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘সৌদি আরব বাংলাদেশের অন্যতম বন্ধু রাষ্ট্র। ধর্মীয় অনুভূতির কারণে বাংলাদেশের জনগণের কাছে সৌদি আরবের গুরুত্ব অত্যধিক। আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদ মোকবিলায় বাংলাদেশ সৌদি আরবের এক সহযোগী বন্ধু। এছাড়া পবিত্র মক্কা, মদীনার ওপর কোনও ধরনের হুমকি মোকাবিলায় সৌদি আরবের অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে সহযোগিতার হাত বাড়াতে বাংলাদেশ অঙ্গীকারাবদ্ধ।’
সংসদ সদস্যদের আশ্বস্ত করে এ কে মোমিন বলেন, ‘বাংলাদেশ সৌদি আরবে সৈন্য মোতায়েন সংক্রান্ত কোনও চুক্তি স্বাক্ষর করেনি। বরং বাংলাদেশ সৌদি আরবের সঙ্গে প্রতিরক্ষা বিষয়ক একটি সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে, যার মাধ্যমে দুই দেশের প্রতিরক্ষা বাহিনী সামরিক প্রশিক্ষণ ও অনুশীলন, শিক্ষা, সামরিক ও গোয়েন্দা তথ্য বিনিময়, প্রতিরক্ষা শিল্প সরবরাহ ও রক্ষণাবেক্ষণ, পরিদর্শন, দক্ষতা বিনিময়, সামরিক চিকিৎসা ও গবেষণা, সমাজিক ও সাংস্কৃতিক কার্যক্রমে অংশগ্রহণ, বিনোদন, প্রযুক্তি বিষয়ক আলোচনা, সামরিক সদস্যদের পারস্পরিক বিনিময়, সামরিক সুরক্ষা ও জলদস্যুতা প্রতিরোধ ইত্যাদি ক্ষেত্রে সহযোগিতা করবে।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘এই স্মারকের মূল প্রতিপাদ্য হচ্ছে পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে আন্তর্জাতিক শান্তি ও স্থিতিশীলতা বৃদ্ধিতে অবদান রাখা। বাংলাদেশের সংবিধানের মর্যাদা সমুন্নত রাখতে প্রধানমন্ত্রী ও তার সরকার অঙ্গীকারাবদ্ধ। শেখ হাসিনার সরকারের সংবিধানের বাইরে যাওয়ার কোনও দৃষ্টান্ত অতীতে ছিল না, এখনও নেই, ভবিষ্যতেও থাকবে না।
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডি :/ জয় রহমান
Leave a Reply