
ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রীর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ইসরায়েলের হামাসের সঙ্গে কোনো চুক্তি তিনি সমর্থন করবেন না। সম্প্রতি হামাসের সঙ্গে ইসরায়েলের একটি অস্ত্রবিরতি চুক্তি হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছিলো।
এই ধারণা উড়িয়ে দিয়ে হামাসের সঙ্গে অস্ত্র বিরতি চুক্তির বিষয়ে ইসরায়েল প্রতিরক্ষামন্ত্রী লিবারম্যান মন্তব্য করেছেন, ‘আমি এ ধরণের কোনও বিষয়ের সঙ্গে জড়িত নই। হামাস এমন একটি সন্ত্রাসী সংগঠন যারা ইসরায়েলের ধ্বংস সাধনের জন্য প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। আমাদের মধ্যে আলোচনার কিছু নেই। সম্প্রতি আমরা দেখেছি, গাজা ও ইসরায়েলের মধ্যে থাকা বাফার জোনে যা হচ্ছে তার পুরো নিয়ন্ত্রণ রয়েছে রয়েছে হামাসের হাতে।’
অস্ত্র বিরতির প্রস্তাব নাকচ করেই ক্ষান্ত হননি লিবারম্যান। তিনি আরও বলেছেন, ‘আমরা যদি দেখি সামরিক পদক্ষেপ নেওয়া ছাড়া আর কোনও উপায় নেই তাহলে আমরা সেভাবেই প্রস্তুতি নেব।’ অবরুদ্ধ গাজার সীমান্ত খুলে দেওয়ার বিষয়ে তার ভাষ্য, যদি সীমান্ত শান্ত থাকে তাহলে কেরেম শালোম সীমান্ত খুলে দেয়া হবে। আর তা না হলে বন্ধ থাকবে।
মিডিল ইস্ট মনিটর লিখেছে, ফিলিস্তিনিরা গত ৩০ মার্চ থেকে ইসরায়েল সীমান্তে প্রতিবাদ সমাবেশ আয়োজন করে আসছে। নাকনবা নামে পরিচিত ওই প্রতিবাদ সমাবেশের উদ্দেশ্য ইসরায়েলে থাকা তাদের পূর্ব পুরুষদের বাড়ি ফেরত পাওয়া এবং ১১ বছর ধরে গাজাকে অবরুদ্ধ করে রাখার প্রক্রিয়ার অবসান ঘটানো। ইসরায়েলি সেনাবাহিনী এই আন্দোলন দমন করতে এখন পর্যন্ত ১৭০ জনকে হত্যা করেছে। ইসরায়েলি হামলায় আহত হয়েছেন অন্তত এক হাজার ৭০০ জন।
ইসরায়লের প্রতিরক্ষা মন্ত্রীর এমন বক্তব্য দুই পক্ষের মধ্যকার অস্ত্র বিরতি চুক্তির আশা গুঁড়িয়ে দিলো। এর ফলে আবারও সেই অনিশ্চয়তার মুখেই রইলো চুক্তিটি।
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডি :/ এম ইউ
Leave a Reply