
সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরীর পরিবারের পক্ষ থেকে ২০ লাখ টাকার বিনিময়ে মামলা তুলে নেওয়ার প্রস্তাবে রাজি হয়েছেন নিহতের পরিবার। সংবাদ মাধ্যমকে এ বিষয়টি জানিয়েছেন নিহত সেলিম ব্যাপারীর বোন-জামাই।
রাজধানীর মহাখালীর ফ্লাইওভারে গাড়িচাপায় পথচারী সেলিম ব্যাপারীকে মেরে পালিয়ে যাওয়ার ঘটনায় এ ক্ষতিপূরণ দিতে রাজী হয়েছেন ওই সাংসদ সদস্য।
এ ছাড়াও প্রতিমাসে সেলিম ব্যাপারীর পরিবারকে ২০ হাজার টাকা করে দেয়ার প্রতিশ্রুতি দেন নোয়াখালীর- ৪ সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরী।
নিহত সেলিম ব্যাপারীর বোনের স্বামী আবদুল আলিম বলেন, ‘সেলিমের স্ত্রী চায়না ব্যাপারীর ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ২০ লাখ টাকা দেওয়া হয়েছে। আর প্রতি মাসে ২০ হাজার টাকা দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন এমপি সাহেব। ভবিষ্যতেও পাশে থাকবেন বলে বলেছেন এমপি সাহেব।
তিনি আরও বলেন, ‘গত বৃহস্পতিবার (২১ জুন) রাতে মহাখালীর ডিওএইচএসে নায়ার প্রোপার্টিজের ব্যাবস্থাপনা পরিচালক ইমরান হোসেনের উপস্থিতিতে ওই আপস বৈঠক হয়। সেলিম ব্যাপারীর পরিবারের সদস্যদের পাশাপাশি এমপি একরামুল করিমের পক্ষে কয়েকজন সেখানে ছিলেন।
নিহত সেলিম বেপারী নাওয়ার প্রপার্টিজ নামের একটি আবাসন কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইমরান হোসেন খানের গাড়ি চালাতেন।
শুক্রবার (২৩ জুন) যোগাযোগ করা হলে ইমরান হোসেন খান বলেন, ‘গাড়িটি কে চালাচ্ছিলেন, সেটা পুলিশের তদন্তের বিষয়। গাড়ির মালিক সাংসদ একরাম চৌধুরীর সঙ্গে গত বৃহস্পতিবার রাতে এ নিয়ে আলোচনা হয়েছে। সাংসদ স্বীকার করেছেন যে দুর্ঘটনার জন্য দায়ী গাড়িটি তার। তবে, তিনি বলেছেন সেটি সে সময় তার চালক চালাচ্ছিলেন। সাংসদ নিহত সেলিমের পরিবারের জন্য সহানুভূতিশীল এবং এ বিষয়ে খুবই আন্তরিক। নিহত সেলিমের স্ত্রী ও পরিবারের আজীবনের ভরণপোষণ দিতে চেয়েছেন তিনি। এ ছাড়া তিনি অ্যাকাউন্ট খুলতে বলেছেন, যাতে একটা বড় অঙ্কের টাকা ফিক্সড ডিপোজিট জমা রাখা থাকবে সেলিমের সন্তানদের জন্য।’
সাংসদের পক্ষে এই উদ্যোগ প্রশংসনীয়, তবে এইসব ক্ষমতাধর ব্যক্তিদের সন্তানের মুখে লাগাম চেপে ধরা খুবই জরুরী। নাহলে নানা উপায়ে বিপথে যাবার সম্ভাবনা থাকে।
এছাড়া টাকার মূল্য কখনোই জীবনের চেয়ে বেশি হতে পারে না। সেজন্যে রাস্তাঘাটে গাড়ি চালক এবং পথচারী উভয়কেই সচেতন হওয়া উচিৎ। এ বিষয়ে কঠোর আইনের বিধান করা উচিৎ।
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডি :/ এস এস
Leave a Reply