
ঘটনাটি নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার। ফতুল্লার পূর্ব ইসদাইর আনন্দনগর এলাকার শহীদুল্লাহর বাড়ির ভাড়াটিয়া আতাউল্লাহ খোকন ও উর্মি আক্তারের বাসায় পিতামাতাহীন শিশু মাহিকে গৃহপরিচারিকা হিসেবে কাজে নেয় গত তিন মাস আগে।
এরপর থেকে শিশুটি বাসায় প্রায় সময় কান্নাকাটি করত। এক পর্যায়ে অনাথ শিশু মাহিকে (৮) খুন্তি গরম করে ছ্যাঁকা ও নির্যাতন করেছে সেই দম্পতি। শিশুটি নির্যাতন সহ্য না করতে পেরে চিৎকার করলে প্রতিবেশী জাকির হোসেন শনি শিশুটিকে উদ্ধার করে। এ ঘটনায় পুলিশ ওই দম্পতিকে আটক করে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করেছে।
জানা যায়, শুক্রবার রাতে বাঁচাও বাঁচাও চিৎকার শুনে স্থানীয় লোকজনকে নিয়ে ওই দম্পতির বাসায় গিয়ে শিশুটিকে উদ্ধার করে থানায় খবর দেয় জাকির শনি।
পরে পুলিশ গিয়ে শিশুটির হাতে ও মুখে বর্বর নির্যাতনের চিহ্ন দেখতে পায়। তখন শিশুটিকে জিজ্ঞেস করলে সে জানায়, তাকে কারণে-অকারণে কাজে ভুল ধরে খুন্তি গরম করে হাতে ও শরীরে ছ্যাঁকা দিত। কথায় কথায় মারধর করত।
২০-২৫ দিন আগে তার হাতে গরম খুন্তি দিয়ে ছ্যাঁকা দেয়ায় তার ডান হাতের চামড়া উঠে যায়। শুক্রবারও সেই ক্ষত হাতে ছ্যাঁকা দেয়া হয়।
ফতুল্লা মডেল থানার ওসি শাহ মোহাম্মদ মঞ্জুর কাদের জানান, শিশুটিকে শহরের খানপুর ৩০০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। শিশুটি অনাথ। তার কোনো আত্মীয়স্বজন না পাওয়ায় প্রত্যক্ষদর্শী হিসেবে ওই বাড়ির প্রতিবেশী জাকির শনি বাদী হয়ে নির্যাতনের নানা বিষয় উল্লেখ করে মামলা করেছেন। শিশুটি পুলিশের হেফাজতে আছে। আসামিদের আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
মানুষের বর্বরতা মানুষকে কোথায় নিয়ে যাচ্ছে? সভ্য আমাদের পোশাক হচ্ছে, ভাষা হচ্ছে, তবে মানুষ হিসেবে আমরা সত্যিই কি সভ্য জাতিতে পরিণত হতে পেরেছি এখনো? এই প্রশ্ন সকল বিবেকবান মানুষের কাছে রয়েই গেলো।
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডি :/ এম ইউ
Leave a Reply