
সম্প্রতি স্কুল কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা রাস্তায় নেমেছিলো নিরাপদ সড়কের দাবীতে। কিছু বিচ্ছিন্ন সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটে সেখানে।
নিরাপদ সড়কের দাবীতে এই আন্দোলনের সময় পুলিশের উপর হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগে আটক করা হয় ২২ জন শিক্ষার্থীকে।
এর মধ্যে দুই মামলায় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮ শিক্ষার্থীর জামিন নামঞ্জুর করেছেন আদালত।
সোমবার দুপুরে ঢাকা মহানগর হাকিম প্রণব কুমার হুই রাজধানীর বাড্ডা ও ভাটারা থানায় দায়ের করা পৃথক দুই মামলায় ৮ শিক্ষার্থীর জামিন নামঞ্জুরের আদেশ দেন।
এদিন রাজধানীর বাড্ডা থানায় করা মামলায় আসামি রাশেদুল ইসলাম, মুসফিকুর রহমান, হাসান, জাহিদুল হক ও নূর মোহাম্মদের জামিন আবেদন করেন তাদের আইনজীবীরা। অপরদিকে ভাটারা থানার করা মামলায় আসামি সাবের আহম্মেদ, শিহাব শাহরিয়ার ও সাখাওয়াত হোসেনের জামিনের আবেদন করা হয়।
সংশ্লিষ্ট থানার নিবন্ধন কর্মকর্তা পুলিশের উপ-পরিদর্শক আবু হানিফ জামিনের বিরোধিতা করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত তাদের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেন।
এর আগে গত রোববার ৪ জনের জামিন নামঞ্জুর করেন। এরা হলো- তরিকুল ইসলাম, রেদোয়ান আহম্মেদ, মাসহাদ মুর্তজা আহাদ, আজিজুল করিম অন্তর।
গত ৯ আগস্ট ওই চার আসামিসহ ২২ আসামিকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত। ৭ আগস্ট ২২ আসামির দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
মামলার অপর আসামিরা হলেন- রিসালাতুন ফেরদৌস, রাশেদুল ইসলাম বায়েজিদ, মুশফিকুর রহমান, ইফতেখার আহম্মেদ, রেজা রিফাত আখলাক, এএইচএম খালিদ রেজা ওরফে তন্ময়, তরিকুল ইসলাম, নূর মোহাম্মদ, সীমান্ত সরকার, ইকতিদার হোসেন, জাহিদুল হক, হাসান, ফয়েজ আহম্মেদ আদনান, সাবের আহম্মেদ উল্লাস, মেহেদী হাসান, শিহাব শাহরিয়ার, সাখাওয়াত হোসেন নিঝুম ও আমিনুল এহসান বায়েজিদ।
আসামিদের মধ্যে প্রথম ১৪ জন বাড্ডা থানার এবং শেষের ৮ জন ভাটারা থানার মামলার আসামি। আর এরা বেসরকারি ইস্ট ওয়েস্ট, নর্থসাউথ, সাউথইস্ট ও ব্র্যাক ও আহসানউল্লাহ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী।
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডি :/ এম ইউ
Leave a Reply