এই লোকটার কথা মনে আছে? এমএলএম কোম্পানি ‘ডেসটিনির’ এমডি রফিকুল আমিন। একটা সময় তার দেখানো স্বপ্নে লাখ লাখ তরুণ-যুবক ছুটে এসেছিলো। ধুসর জামার উপর চাপিয়েছিলো কোট, টাই। মতিঝিল, পল্টনে দিনভর ব্যাস্ত যুবকদের মুখে কথার খই৷ যাকে সামনে পাচ্ছে তাকেই ধরে নিয়ে ঢুকাচ্ছে ডেসটিনিতে। কোটিপতি হওয়ার স্বপ্নে কেউ কেউ জমি বেচে নাম লিখিয়েছিলেন ডেসটিনিতে।
তারপর…।
রফিকুল আমিনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা, গ্রেফতার, বন্ধ হয়ে গেছে ডেসটিনি। স্বপ্নদেখা মানুষগুলোর মথায় হাত। টাকা, স্বপ্ন, সময় সব খুইয়ে দিশেহারা। পরিবারসহ পথে নেমেছে অনেকেই। কেউ কেউ এতোদিনে অন্যপথ খুঁজে নিয়েছে। সারভাইভ করেছে।
ওই সময়টাতে পাড়ায় পাড়ায় সাংস্কৃতিক আন্দোলন, সামাজিক ও সৃজনশীল উদ্যোগ আর সেবামূলক নানা কর্মকান্ডে জড়িত ছিল তরুণরা। পঠাগার ছিলো, গান- কবিতার আসর বসতো। ডেসটিনি আসার পরে এইসব কাজে ভীষণ ভাটা পড়েছেছিল। টাকার পিছনে মৌমাছির মতো ছুটেছে সবাই। তরুণ-যুবাদের শুধু টাকার পেছনে ছোটানোর জন্য ডেসটিনির বড় ভূমিকা ছিলো। তারপর থেকে এই ভালো কাজগুলো করার মতো মানুষের সেই যে অভাব শুরু হয়েছে, আর কখনো গোছেনি।
রফিকুল আমিনের ছবি দেখে বোঝা যাচ্ছে, তিনি ভালো নেই। শুনেছি, তার হার্টে রিং পরানো হয়েছে। তিনি কি জানেন- আমাদের লাখ লাখ তরুণ, যুবক ডেসটিনির ফাঁদে পা দিয়ে এমনই পঙ্গু হয়েছে, এখনো ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি। (ইঞ্জিনিয়ার্স ডায়েরী)
নিজস্ব মতামতঃ বহু নেতৃত্বগুনে গুণান্বিত প্রতিভাবান বহু সৃজনশীল ব্যক্তি ও বিভিন্ন সংগঠন ডেসটিনি স্রোতে হারিয়ে গেছে। সে সময় অনেকেই বলেছিলো ডেসটিনি এক ঢিলে কয়েক পাখি শিকারের ফাঁদ। দেশের লক্ষ লক্ষ যুবকের স্বপ্নভঙ্গের এ দায় আজ কার?
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডি:/আমিরুল ইসলাম
Leave a Reply