
রুবেল সরদার, বাবুগঞ্জ প্রতিনিধি ঃ সরকারি কর্মকর্তাদের অফিসের দরজা পেরিয়ে দেশের অধিকাংশ মানুষ প্রশাসনের সেবা নিতে পারছে না বলেই ধারনা সাধারনের। এতে সাধারন মানুষ বিভিন্ন ভাবে সরকারী সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। উপজেলা প্রশাসন ও সাধারন মানুষের মধ্যে সেই দূরত্ব কমাতে এবার ব্যতিক্রমধর্মী
উদ্যোগ নিয়েছেন বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুজিত হাওলাদার। বরিশালের বাবুগঞ্জে যোগদানের পর থেকে সব কর্মযজ্ঞ বিধিবিধান ও আইন কানুনের আওতায় সম্পন্ন হবে বলে ঘোষনা দেন এবং সেই অনুযায়ী কাজ করছেন তিনি। উপজেলা পরিষদের রাজস্ব এডিপি, টিআর,
কাবিখা ৪০ দিনের কর্মসূচিসহ সকল সরকারি অর্থ তদারকির মাধ্যমে সঠিক ভাবে ব্যায় করা হচ্ছে। তিনি যোগদানের পর থেকেই সাধারন মানুষের মাঝে উপজেলা প্রশাসনের প্রতি পজেটিভ ভাবমূর্তি তৈরি হয়েছে। সর্বশেষ একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাবুগঞ্জ-মুলাদি বাসীকে একটি সুষ্ঠ সুন্দর নিরোপেক্ষ নির্বাচন উপহার দিতে সক্ষম হয়েছে। এ আসনের সাধারন ভোটারদের মাঝে আস্থা অর্জন করেছেন তিনি। বাবুগঞ্জ উপজেলা ভূমি অফিস দালাল ও ঘুষ মুক্ত
করার লক্ষে অফিসের সামনে খোলা হয়েছে হেল্প ডেস্ক। সামনেই সাটানো হয়েছে বিভিন্ন কাজ কর্মের সরকার নির্ধারিত টাকার পরিমান। কোন গ্রাহক হয়রানীর শিকার না হয় সে জন্য চলছে প্রতিদিন তদারকি। সুজিত হাওলাদার নিজের কার্যালয়ের সামনে ঝুলিয়ে দিয়েছেন একটি কাগজ, সেখানে লেখা রয়েছে “অফিসে প্রবেশের জন্য অনুমতির প্রয়োজন নেই’ এ অফিস আপনাদের”। এ নোটিশ টানানোর পর বেশ সাড়া পড়েছে। এতে যে কোন প্রায়োজনে
কৃষক, শ্রমিকসহ সাধারন মানুষ নির্ভয়ে তাদের সমস্যার কথা জানাতে পারছেন এবং সহজেই তা সমাধান পাচ্ছেন। এছাড়া পিএসসি,জেএসসি ও এসএসসি পরিক্ষায় নকল মুক্ত ও সুন্দর পরিবেশ বজায় রাখতে ইউএনও সুজিত হাওলাদার ভূমিকা প্রশংসা কুড়িয়েছে। দক্ষিন ভূতেরদিয়া গ্রামের শেখ মোঃ রফিকুল ইসলাম জানান, ২০১৭ সালে বাবুগঞ্জ উপজেলা ভূমি অফিস থেকে আমার ভোগদখলিয় একটি জমির মিউটিশন করতে ৭ হাজার টাকা দিয়ে দীর্ঘ ৪মাস পরে হাতে পেয়েছি । কিন্তু বর্তমানে একটি মিউটিশনে আমার ১১শ ৫০ টাকায় মাত্র ১মাস ৩দিনে পেয়েছি। কেদারপুর ইউনিয়নের বিধবা মোসাঃ নুরজাহান
বেগম জানান, স্বামীর মৃত্যুর পরে কোন কাজ করার শক্তি নাই মানুষের দ্বারে দ্বারে হাত পেতে দু’বেলা আহার জোগাতে হতো উপজেলায় স্যারের কাছে বলার পরে এখন উপজেলা থেকে ঢেউ টিন ও সরকারি সাহাজ্য নিয়ে আমি অনেক ভালো আছি এখন আর কারো কাছে হাত পাততে হয়না। সুজিত হাওলাদারের সাথে আলাপকালে তিনি বলেন, উপজেলার প্রত্যান্ত অঞ্চলের সাধারন মানুষ এখনো দপ্তরে সরকারি সেবা নিতে দালালদের স্মরনাপন্ন হয়। আমাকে সরকার
এখানে পাঠিয়েছে জনগনের সেবা নিশ্চিত করতে। আমি সেই চেষ্টাই করছি।আমার আহব্বান থাকবে দালাল নির্ভর না হয়ে সরাসরি সেবা গ্রহনে অফিসারদের কাছে আসুন। সাধারন মানুষ ও প্রশাসনের সঙ্গে কোন দূরত্ব থাকবে না। জনগনের জন্য ২৪ ঘন্টা আমার দরজা খোলা থাকবে।
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডি:/আমিরুল ইসলাম
Leave a Reply