
দেশের উন্নতির ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় অন্তরায় হলো দুর্নীতি। দুর্নীতি যখন প্রবেশ করে ফেলে সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে তখন প্রকৃত অর্থেই কোনো উন্নয়ন আশা করা যায় না। সমস্যাটা হলো, এই সামাজিক ব্যধি দুর্নীতিকে কোনো সীমানায় আটকে রাখা যায় না। ক্যান্সারের মতো করে ছড়িয়ে পরে সর্বত্র। তার ফলাফল হয় ভয়াবহ। একসময়ের প্রতিজ্ঞাবদ্ধ সৎ মানুষ গুলো হার মেনে যান, অনেক ক্ষেত্রে বাধ্য হন উর্ধ্বতন কর্মকর্তার অন্যায় প্রশ্রয় দিতে।
ছোট একটি আশার খবর অবশ্য রয়েছে। দুর্নীতির ধারণা সূচকে বাংলাদেশ পূর্বের সবসময়ের তুলনায় সবচেয়ে ভালো অবস্থানে এবার। দুই ধাপ এগিয়ে বাংলাদেশের অবস্থান এবার শেষের দিক থেকে ১৭ তম। ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালের জরিপে এই তথ্য দেয়া হয়। বাংলাদেশ ছিল ১৪৫ তম অবস্থানে। দুই ধাপ এগিয়ে অবস্থান এখন ১৪৩ তম।
১০০ পয়েন্টের মধ্যে মার্কিং করা হয়। এতে বাংলাদেশ পেয়েছে ২৮ পয়েন্ট। এটি এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের সর্বোচ্চ। তবে এই ক্ষুদ্র সফলতায় খুব বড় কিছু দেখার নেই, বলছেন বিশেষজ্ঞরা। সংস্থাটি বলেছে, এটি খুবই সামান্য অগ্রগতি। যা কোনো অবস্থাতেই সন্তোষজনক নয়।
দক্ষিন এশিয়ার আটটি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ কেবলমাত্র আফগানিস্তানের চেয়ে উপরে। এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলে ৩১ টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান নিচের দিক থেকে ৪ নম্বরে। সূচক অনুযায়ী ১০০ এর মধ্যে ৪৩ স্কোরকে গড় ধরা হয় ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল এর পক্ষ থেকে। সে হিসেবে বাংলাদেশের মাত্র ২৮ পয়েন্ট নিম্নস্তরের, যা নিয়ে আত্মতুষ্টিতে পড়ার তেমন কিছুই নেই। তাছাড়া বিশ্বব্যাপী নাগরিক অধিকার খর্ব হবার পাশাপাশি দূর্নীতি যেভাবে বাড়ছে, বাংলাদেশও সে আওতার বাইরে নয়।
বাংলাদেশের ধানমন্ডিতে মাইডাস সেন্টারে বার্লিনের সাথে একযোগে সংবাদ সম্মেলন করে এই প্রতিবেদন উপস্থাপন করে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টি আই বি)। উল্লেখ্য, বৈশ্বিক তালিকায় সবার নিচে সোমালিয়ার অবস্থন। দেশটির স্কোর মাত্র ৯। সবার উপরে রয়েছে নিউজিল্যান্ড। স্কোর ৮৯। অর্জন ছোট হলেও বাংলাদেশ দেখাতে পেরেছে, তারা এই সামাজিক ব্যধি দুর্নীতির রাশ টেনে ধরতে পারে চাইলেই।
হোক সেটা ধীর গতির, তবুও। এই অগ্রগতিকে আরো এগিয়ে নেবার প্রত্যাশা এখন বাংলাদেশ করতেই পারে।
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডি :/ এস এস
Leave a Reply