
১৯৯৪ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর আওয়ামীলীগ সভানেত্রী ও তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেতা সাংগঠনিক সফরে খুলনা থেকে রাজশাহী অভিমুখে ট্রেনযোগে বের হন। দলীয় সূতে জানা যায়, পথিমধ্যে তিনি বিভিন্ন স্থানে পথসভা করেন। ঈশ্বরদী স্টেশনে তার একটি নির্ধারিত পথসভা ছিল। তাকে বহনকারী ট্রেনটি পাকশী স্টেশনে পৌঁছার পরপরই ওই ট্রেনে ব্যাপক গুলিবর্ষণ ও বোমা হামলা চালানো হয়। তবে প্রাণে বেঁচে যান শেখ হাসিনা।
ওই ঘটনায় বহনকারী ট্রেনে গুলিবর্ষণের মামলায় ৯ জনের ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন আদালত। একই মামলায় ২৫ জনের যাবজ্জীবন, এবং ১৩ জনের ১০ বছর করে কারাদণ্ড দেন আদালত।
এর আগে গত সোমবার ( ১ জুলাই) এ মামলার ৩০ আসামির উপস্থিতিতে উভয়পক্ষের আইনজীবীদের যুক্তিতর্ক সম্পন্ন হয়। এ মামলার প্রধান আসামি ঈশ্বরদী পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জাকারিয়া পিন্টু ও পৌর বিএনপির সাবেক সভাপতি হুমায়ুন কবির দুলাল আদালতে হাজির না থাকায় তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত।
উল্লেখ্য, এ ঘটনায় ঈশ্বরদী জিআরপি থানার তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম বাদি হয়ে ওইদিনই একটি মামলা দায়ের করেন। ৩ বছর পর ১৯৯৭ সালে ৩ এপ্রিল পুলিশ মোট ৫২ জনের নামে এ মামলার চার্জশিট দাখিল করে।
পাবনা জজকোর্টের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) ওবায়দুল হক বলেন, মামলার ৫২ জন আসামীর মধ্যে ৩০ জন স্বশরীরে এজলাসে উপস্থিত হয়ে জামিন আবেদন করেন। বিচারক জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন এবং বাকি আসামীদের বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট জারি করেন। একই আদালতে উভয়পক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করার কথা রয়েছে। পরে আসামীদের পাবনা জেলা কারাগারে পাঠানো হয়।
আসামীরা ঈশ্বরদী উপজেলা ও পৌর বিএনপি এবং অঙ্গ সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মী বলে জানা গেছে। ৫২ আসামীর মধ্যে ৬ জন মারা গেছেন।
সে সময় ওই মামলার রাষ্ট্রপক্ষে আইনজীবি ছিলেন পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট আক্তারুজ্জামান মুক্তা ও অ্যাডভোকেট সালমা আহমেদ শিলু। আসামী পক্ষে আইনজীবি ছিলেন অ্যাডভোকেট নুরুল ইসলাম গ্যাদা।
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডি :/ জয় রহমান
Leave a Reply