
রাজধানীর ওয়ারীতে সাত বছরের শিশুকে ধর্ষণের পর হত্যা মামলার মূল অভিযুক্তকে গ্রেপ্তারের কথা জানিয়েছে গোয়েন্দা পুলিশ। তার নাম হারুন অর রশিদ।
রবিবার তাকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার মাহবুব আলম। তিনি বলেন, ‘আটক হারুন এলাকার একটি রঙয়ের দোকানের কর্মচারী। ওই বাসার আট তলায় তিনি মাঝেমধ্যে এসে থাকতেন। তিনিই শিশুকে নবম তলায় নিয়ে ধর্ষণের পর হত্যা করেন বলে তথ্য মিলেছে। এ বিষয়ে সংবাদ সম্মেলন করে পরে বিস্তারিত জানানো হবে।’
পুলিশের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বেলা সাড়ে ১১টার দিকে কুমিল্লার ডাবরডাঙ্গা এলাকায় অভিযান চালিয়ে ধরা হয়েছে হারুনকে। তিনি ওই বাসার ভাড়াটিয়া তার খালাতো ভাই পারভেজের বাসায় থাকতেন এবং পারভেজের রংয়ের দোকানে কাজ করতেন।
অভিযুক্ত হারুন মেয়েটিকে ধর্ষণ ও শ্বাসরোধ করে হত্যার বিষয়টি পুলিশের কাছে স্বীকার করেছেন বলেও বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
গত শুক্রবার রাত ৯টার দিকে ওয়ারীর বনগ্রামের একটি বহুতল ভবনের ৯ তলার খালি ফ্ল্যাটের রান্নাঘরের মেঝে থেকে ওই শিশুর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
মেঝেতে গলায় দড়ি দিয়ে বাঁধা এবং মুখ রক্তাক্ত অবস্থায় সায়মাকে পড়ে থাকতে দেখে পুলিশকে খবর দেন তার স্বজনরা।
সন্ধ্যার পর মাকে খেলতে যাওয়ার কথা বলে বাসা থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হয় শিশুটি।
ওই ভবনের ছয় তলার একটি ফ্ল্যাটে থাকে শিশুটির পরিবার। চার ভাইবোনের মধ্যে সবার ছোট মেয়েটি স্থানীয় একটি স্কুলে নার্সারিতে পড়াশোনা করত।
শনিবার ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ময়নাতদন্তে মেয়েটিকে ধর্ষণের পর হত্যার আলামত মেলে। বিষয়টি নিশ্চিত করেন ঢাকা মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক বিভাগের প্রধান সোহেল মাহমুদ।
শনিবার সকালে শিশুটির বাবা মামলা করেন ওয়ারী থানায়। এরপর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বাড়ির নিরাপত্তা প্রহরীসহ ছয়জনকে আটক করে পুলিশ। তবে তাদের বিষয়ে বিস্তারিত এখনো জানানো হয়নি।
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডি :/ জয় রহমান
Leave a Reply