
এই বছরের জানুয়ারিতে পুলিশ সপ্তাহ শুরুর আগে পুলিশের উপ মহাপরিদর্শক মিজানের বিরুদ্ধে স্ত্রী-সন্তান রেখে আরেক নারীকে জোর করে বিয়ের অভিযোগ ওঠে। এ বিষয়টি নিয়ে সকল মহলেই ব্যাপক তোলপাড় হয়।
ওই ঘটনার পর এক নারী সংবাদ পাঠককে হুমকি দেওয়ার অভিযোগও ওঠে ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার মিজানের বিরুদ্ধে। এরপর মিজানকে ঢাকা মহানগর পুলিশ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়।
মিজান সাংবাদিকদের প্রশ্নে বলেন, “সাংবাদিক এক ভদ্র মহিলার সঙ্গে আমার কনভারসেশন হয়েছে, এজন্য আমি স্যরি। এজন্য আমি দুঃখ প্রকাশ করছি।”
বৃহস্পতিবার সম্পদের তদন্তে দুদকের তলবে সেগুন বাগিচায় কমিশন কার্যালয়ে জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হওয়ার পর সাংবাদিকরা ওই বিষয়টি নিয়েও তাকে প্রশ্ন করেন।
‘স্যরি’ বলার পাশাপাশি তিনি বলেন, “এ বিষয়ে আমি বলব, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আমার বিরুদ্ধে ইনকোয়ারি আছে, সুতরাং উনারাই ভালো বলতে পারবেন, কতটুকু প্রমাণিত হয়েছে, কতটুকু প্রমাণিত হয়নি।”
ডিআইজি মিজান পুলিশের উচ্চ পদে থেকে তদবির, নিয়োগ, বদলিসহ নানা অনিয়ম-দুর্নীতিতে জড়িয়ে নানা উপায়ে শত কোটি টাকার মালিক হন বলে দুদকে অভিযোগ আসে।
এই অভিযোগ যাচাই-বাছাই শেষে অনুসন্ধানের জন্য গত ১০ ফেব্রুয়ারি দুদকের উপ-পরিচালক ফরিদ আহমেদ পাটোয়ারীকে অনুসন্ধান কর্মকর্তা নিয়োগ করে দুদক।
সম্পদের তদন্তে সকাল ৯টা থেকে বিকাল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত টানা সাড়ে ৭ ঘণ্টা পুলিশের উচ্চপদস্থ এই কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন দুদক কর্মকর্তারা।
এ বিষয়ে ডিআইজি মিজান সাংবাদিকদের বলেন, “দুদকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার সাথে দীর্ঘক্ষণ কথা হয়েছে। আমার ট্যাক্স ফাইলের বাইরে আমার কোনো সম্পদ নেই, বাকিটুকু আপনারা তদন্ত কর্মকর্তাকে জিজ্ঞেস করতে পারেন।”
আত্মীয়-স্বজনদের নামে কোনো সম্পদ আছে কি না- এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “আমি আবারও বলি যে যে জায়গায় সম্পদ আছে বা আমার আত্মীয়-স্বজনের নামে যে সম্পদ আছে, তা আমার ট্যাক্স ফাইলে আছে।”
আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দায়িত্ব দেশের জনগনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। সাধারণ মানুষ তাঁদের দেখে শিখবে, তাঁরা হবেন অনুকরণীয় ব্যক্তিত্য। অথচ এমন কিছু বিতর্কিত কর্মকাণ্ড তাঁদের দায়িত্বজ্ঞানকে প্রশ্নের মুখে ফেলে দেয়।
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডি :/ এস এস
Leave a Reply