
আবহাওয়া বিরূপ হয়ে পড়ছে প্রাণীকুলের প্রতি। এর প্রভাব পড়ছে আমাদের পরিবেশে।
এর রেশ ধরে গ্রীষ্মকালের তীব্র দাবদাহে পাকিস্তানের বৃহত্তম নগরী করাচিতে তিন দিনে ৬৫ জন মারা গেছেন বলে জানিয়েছে একটি কল্যাণ সংস্থা। মৃত্যুর অধিকাংশ ঘটনা করাচির নিম্নবিত্ত এলাকাগুলোতে ঘটেছে বলে মঙ্গলবার জানিয়েছেন ঈদি ফাউন্ডেশনের পরিচালক ফয়সাল ঈদি, খবর বার্তা সংস্থা রয়টার্সের।
এই দাতব্য সংস্থাটি পাকিস্তানের বন্দর নগরীটিতে অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিসের পাশাপাশি অনেকগুলো মর্গ পরিচালনা করে। ঈদি রয়টার্সকে বলেছেন, “গত তিন দিনে ৬৫ জন মারা গেছেন। মৃতদেহগুলো আমাদের শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত মর্গে রাখা আছে। তারা হিট-স্ট্রোকে মারা গেছেন বলে এলাকার চিকিৎসকরা জানিয়েছেন।”
উচ্চ তাপমাত্রা বজায় থাকায় মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। স্থানীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সোমবার করাচির তাপমাত্রা ৪৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসে উঠেছিল। এর সঙ্গে যোগ হয়েছে বিদ্যুৎ বিভ্রাট।
রোজার মধ্যে নগরীর অধিকাংশ মানুষ রোজা থাকায় এবং দিনের বেলা পানি পান থেকে বিরত থাকায় বিরূপ পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে হচ্ছে তাদের। এসব বিষয়ে নিয়ে কথা বলার জন্য দেশটির সরকারের এক মুখপাত্রের সঙ্গে চেষ্টা করেও যোগাযোগ করা যায়নি বলে জানিয়েছে রয়টার্স।
তবে সিন্ধু প্রদেশের স্বাস্থ্য সচিব ফজলুল্লাহ পেচুহো গরমে কেউ মারা যায়নি দাবি করেছেন বলে জানিয়েছে ডন সংবাদপত্র। ডনে উদ্ধৃত বক্তব্যে পেচুহো বলেছেন, “মৃত্যু হিট-স্ট্রোকে না অন্য কোনো কারণে হয়েছে তা শুধু চিকিৎসক ও হাসপাতালগুলোই বলতে পারে। করাচিতে হিট-স্ট্রোকে লোকজন মারা যাচ্ছেন, এসব স্পষ্টভাবে প্রত্যাখ্যান করছি আমি।”
তিনি এসব বললেও করাচিতে হিট-স্ট্রোকে মৃত্যুর বিভিন্ন প্রতিবেদন আসায় শঙ্কা বেড়েই চলছে। অনেকেই ২০১৫ সালের ঘটনার পুনারাবৃত্তির আশঙ্কা করছেন; ওই বছরের গ্রীষ্মকালে তীব্র গরমে করাচিতে অন্তত ১৩০০ লোকের মৃত্যু হয়েছিল।
গ্রীষ্মকালে গরম পড়বে, এটা স্বাভাবিক। তবে এটি দুশ্চিন্তার কারন হয়ে ওঠে, যখন প্রাণহানি হয়। পৃথিবীজুড়ে বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধির কারনেই উষ্ণতা বাড়ছে পৃথিবীর। ক্ষতি হচ্ছে ফসল, সম্পদ, মারা যাচ্ছে প্রাণী।
এর থেকে মুক্তি পেতে চাইলে পরিবেশের প্রতি আমাদের সচেতন থাকতে হবে। পাশাপাশি খোলা জায়গায় গাছ লাগিয়ে তীব্র গরমে একটু স্বস্তি পাওয়া যেতে পারে।
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডি :/ এস এস
Leave a Reply