
মুক্তির ৫০তম দিন পার করল ঢাকা অ্যাটাক। এখনো দেশের ১১টি ও দেশের বাইরের বেশ কয়েকটি প্রেক্ষাগৃহে চলছে ছবিটি। কয়েকটি দেশে ছবিটির প্রদর্শনী উপলক্ষে প্রচারণা শেষ করে গত সপ্তাহে দেশে ফিরেছেন ছবির নায়িকা মাহিয়া মাহি। ফিরেই নতুন এক ছবির জন্য চুক্তি সই করেছেন তিনি। ঢাকা অ্যাটাক প্রসঙ্গে দেশ-বিদেশের অভিজ্ঞতা ও নতুন কাজ নিয়ে প্রথম আলোর সঙ্গে কথা বলেছেন তিনি।
ঢাকা অ্যাটাক’ নিয়ে কোথায় কোথায় ঘুরলেন?
দুবাই, ইতালি, ফ্রান্স, সুইজারল্যান্ডসহ ১৪টি শহরে ঘুরেছি। এসব দেশে প্রায় ৪০টি শো হয়েছে ছবিটির। এখনো নতুন নতুন শহরে শো করার প্রস্তুতি চলছে। আমরা সাধারণত প্রিমিয়ার শোগুলোতে অংশ নিয়েছিলাম। বেশ সাড়া পেয়েছি। দেশের বাইরে বাংলাদেশি ছবি দেখার জন্য এত মানুষের ভিড় আগে শুনিওনি, দেখিওনি।
কেমন অভিজ্ঞতা?
অবাক হয়েছি। ইতালির ভেনিস শহরের ৮৫০ আসনের একটি হল প্রিমিয়ার শো শুরুর আগেই পূর্ণ হয়ে গিয়েছিল। বাইরে প্রায় একই সংখ্যক দর্শক পরের শো দেখার জন্য অপেক্ষা করেছেন। দেশের বাইরে বাংলাদেশি চলচ্চিত্রের এই চিত্র দেখে সত্যিই খুব ভালো লাগছিল। যেসব জায়গায় ঘুরেছি, সবখানেই ছবিটি নিয়ে দর্শকদের দারুণ আগ্রহ দেখেছি। শোয়ের আগে, পরে তাঁদের সঙ্গে ভালো সময় কেটেছে। তাঁরা আমাদের সঙ্গে সেলফি তুলেছেন, ছবির পেছনের গল্প শুনেছেন। পুরো সফর থেকে একটা শিক্ষা পেয়েছি, বছরে পাঁচটি ছবি করলেও অন্তত তিনটি ঢাকা অ্যাটাক মানের ছবিতে কাজ করতে চাই।
শুক্রবার মুক্তির ৫০তম দিন পার করল ‘ঢাকা অ্যাটাক’। এখনো দেশ-বিদেশের একাধিক হলে চলছে। এ সাফল্যকে কীভাবে দেখছেন?
ভালো গল্প, ভালো অভিনয়, ভালো উপস্থাপন, সেই সঙ্গে অবকাঠামোগত সহযোগিতা থাকলে ছবি ভালো হতে বাধ্য। এর সব কটিই ঢাকা অ্যাটাক পেয়েছে। এই ছবির সঙ্গে যাঁরা জড়িত, এ সাফল্য তাঁদের সবার। এই ছবির একজন শিল্পী হিসেবে আমি আনন্দিত!
কিন্তু অভিযোগ আছে, এই ছবিতে আপনার অভিনয়কে দর্শকেরা সেভাবে গ্রহণ করেননি।
এ প্রসঙ্গে আমি শুরু থেকেই বলে আসছি, পুরো সিনেমায় আমার চরিত্রটিকে সংকুচিত করে ফেলা হয়েছে। পরিচালক আমাকে যেভাবে বলেছেন, সেভাবেই করার চেষ্টা করেছি। দৃশ্যের যেসব জায়গায় আমাকে নিয়ে অভিযোগ, ওই জায়গাগুলোতে আমি তো নিজ ইচ্ছায় কাজ করিনি। যেমন শেষের দিকে শুভ বোমা নিষ্ক্রিয় করতে যায়। ওই সময় আমি কাঁদতে কাঁদতে দৌড়ে গিয়ে তাকে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করি। এখানে দর্শক আমাকে নেয়নি। আপনারা বলুন, নিজের ইচ্ছায় কি ওই দৃশ্যটি করেছি? আবার যদি কেউ বলেন যে আমি সহযোগিতা করিনি, তাহলে বলব, কোনো দৃশ্য যদি মানসম্মত না হয়, তাহলে দৃশ্যটি কি ছবিতে রাখা উচিত?
শুনলাম, দেশে ফিরেই নতুন ছবিতে চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন?
হ্যাঁ। মুস্তাফিজুর রহমান মানিকের একটি ছবিতে চুক্তি সই করেছি। ছবির নায়ক সাইমন। এখনো ছবির নাম ঠিক হয়নি। শিডিউলও হয়নি। জানুয়ারি বা ফেব্রুয়ারি মাস থেকে কাজ শুরু হতে পারে।
এখন আর কী কী করছেন?
এরই মধ্যে জান্নাত, পবিত্র ভালোবাসা, পলকে পলকে তোমাকে চাই—এই তিনটি ছবির কাজ শেষ হয়েছে। এ ছাড়া মন দেব মন নেব, তুই শুধু আমার, প্রেমের বাঁধন, মনে রেখ ছবিগুলোর অল্প কাজ বাকি। সামনে শুটিং শুরু হবে গোলাপতলীর কাজল, অবতার, আমার মা আমার বেহেস্তসহ বেশ কয়েকটি ছবির।
Leave a Reply