
আজ রোববার ভোররাতে পলাশবাড়ী উপজেলার সাকোয়া ব্রিজ এলাকায় গাইবান্ধা-পলাশবাড়ী সড়কে পুলিশের সঙ্গে এক বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে।
গাইবান্ধায় সংগঠিত এই বন্দুকযুদ্ধে’ ছামছুল হক (৩৮) নামের এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। পুলিশের ভাষ্যমতে, নিহত ব্যক্তি একাধিক ডাকাতি মামলার আসামি ছিলেন।
নিহত ছামছুলের বাড়ি পলাশবাড়ী উপজেলার বেতকাপা ইউনিয়নের সাকোয়া গ্রামে। পুলিশ বলছে, ছামছুল হক আন্তজেলা ডাকাত দলের সদস্য ছিলেন।
গাইবান্ধা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খান মো. শাহারিয়ারের ভাষ্য, পুলিশ যৌথ অভিযান চালিয়ে গতকাল শনিবার দুপুরে ছামছুলকে গ্রেপ্তার করে। তাঁর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী অস্ত্র উদ্ধার ও অন্য সঙ্গীদের ধরতে পুলিশ আজ ভোররাতে অভিযানে যায়। এ সময় ছামছুলকে ছিনিয়ে নিতে তাঁর সঙ্গীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। আত্মরক্ষার্থে পুলিশও পাল্টা গুলি ছোড়ে। একপর্যায়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে ছামছুল গুলিবিদ্ধ হয়। পরে তাঁকে উদ্ধার করে গাইবান্ধা সদর হাসপাতালে নেওয়া হলে মৃত ঘোষণা করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক।
ওসি শাহারিয়ার বলেন, ছামছুল আন্তজেলা ডাকাত দলের সদস্য ছিলেন। তাঁর বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় হত্যা ও ডাকাতির ১২টি মামলা রয়েছে।
ময়নাতদন্তের জন্য ছামছুলের লাশ গাইবান্ধা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ। পুলিশ জানায়, ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হলে পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হবে। এই ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
আইন শৃঙ্খলা রক্ষার্থে পুলিশকে সচেতন হতে হবে। অভিযানে নামতে হবে আসামীর বিরুদ্ধে। তবে আসামীদের আইনের আওতায় নিয়ে এসে শাস্তির ব্যবস্থা করবার চেষ্টা রাখা উচিৎ। কারন আসামীর বিচারের ভার কেবল আদালতের উপরই। এছাড়া পুলিশি হেফাজতে এমন মৃত্যু অনেক সময় বিতর্ক সৃষ্টি করতে পারে।
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডি :/ এম ইউ
Leave a Reply