
আজ সোমবার দুপুর ১২টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বহিরাগতদের প্রবেশ নিয়ে ‘অপপ্রচার’ চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন উপাচার্য অধ্যাপক মো. আখতারুজ্জামান।
সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের অধ্যাপক মোজাফফর আহমেদ চৌধুরী মিলনায়তনে এক পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে আখতারুজ্জামান এই অভিযোগ করেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বলেন, অপপ্রচারের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের, তরুণদের উত্তেজিত করার একটি অপপ্রয়াস চালানো হয়েছে।
আখতারুজ্জামান আরো বলেন, ‘একটা কথা পরিষ্কার করে বলতে চাই, জঙ্গি মতাদর্শে বিশ্বাসী মানুষ, চরমভাবাপন্ন মানুষ, মাদকসেবী ও স্বাধীনতার মূল্যবোধের পরিপন্থী প্রচারের মানুষদের স্থান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে হতে পারে না।’
উপাচার্য বলেন, আজকের এই অনুষ্ঠানে কত মানুষ আছে। অভিভাবক আছেন। প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা আছেন। তাঁদের তো কোথাও কোনো গেটে নিষেধাজ্ঞা বা বাধা দেওয়া হয়নি। প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের জন্য এই বিশ্ববিদ্যালয় সব সময় উন্মুক্ত। সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব, শিল্পীদের সম্মান বিশ্ববিদ্যালয়ে থাকবে। কিন্তু মাদকসেবী, জঙ্গি, চরমভাবাপন্ন, মাস্তান, যারা মোটরসাইকেল নিয়ে দ্রুত বেগে শিক্ষার্থীদের স্বাভাবিক জীবন বাধাগ্রস্ত করবে—সেই মানুষের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে ভাবতে হবে।
আখতারুজ্জামান উল্লেখ করে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবেশপথগুলোতে ঐতিহ্যগতভাবেই একটা প্রতিবন্ধকতা দেওয়া থাকে। এটা মানুষ ঠেকানোর জন্য নয়। সেখানে একজন নিরাপত্তারক্ষী থাকেন। তাঁর বসার জন্য একটা ঘর করতে হয়। সেটা হচ্ছে নিরাপত্তাচৌকি।
উপাচার্য বলেন, অনেকে চমৎকার চমৎকার কথা বলেন। বলেন, নিরাপত্তাচৌকি তৈরি করে বিশ্ববিদ্যালয়কে ক্যান্টনমেন্ট বানানো হচ্ছে। যাঁরা মানসিকভাবে বিরক্ত থাকেন, তাঁরা জনউত্তেজনা তৈরির জন্য এ ধরনের অপতথ্য প্রচার করেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মেধাবী ছাত্রদের মিলনায়তন। সেখানে কোনো প্রকার অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি কিংবা এর চেষ্টা করা হলে ছাত্ররা এটি প্রতিহত করতে পারে।
এজন্য ছাত্র সমাজকে আরো একটু সচেতন হতে হবে, নিজেদের ক্যাম্পাস এবং সুনাম অক্ষুণ্ণ রাখার জন্যে।
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডি :/ এম ইউ
Leave a Reply