
আজ থেকে প্রায় দুই বছর আগে ছিলো এক বিভীষিকাময় দিন, সমগ্র বাংলাদেশের জন্য। সেদিন গুলশানের হলি আরটিজান রেস্তোরায় ঘটে নারকীয় হত্যাযজ্ঞ।
দীর্ঘ দুই বছর তদন্ত শেষে হলি আর্টিজান রেস্তোরাঁয় জঙ্গি হামলা মামলার চার্জশিট আদালতে পাঠিয়েছে পুলিশ।
সোমবার ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে পুলিশের কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিটের প্রধান মনিরুল ইসলাম জানান, চার্জশিটে আটজন আসামি হলেও নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষক হাসনাত করিমকে অব্যাহতি দিয়েছেন তদন্ত সংশ্লিষ্টরা।
তিনি বলেন, হামলায় ২১ জনের সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে। যাদের পাঁচজন ওই দিন ঘটনাস্থলেই মারা গেছে। তবে দুজন এখনো পলাতক রয়েছে। আর নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষক হাসনাত করিমের সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়নি। এ কারণে তাকে চার্জশিট থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে রেস্তোরাঁর পাচক সাইফুল চৌকিদার ও শাওনের জড়িত থাকার সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়নি।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, দেশকে অস্থিতিশীল করে জঙ্গি রাষ্ট্র হিসেবে পরিচিত করতে, সরকারকে কোণঠাসা করতে, বিদেশি বিনিয়োগ ক্ষতিগ্রস্ত করতে ও বিদেশি ক্রেতারা যেন চলে যায় এসব কারণে হোলি আর্টিজানে ওই হামলা চালানো হয়।
এখানে সরাসরি আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়নি। তবে জঙ্গিদের এই হামলা চালিয়ে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর দৃষ্টি আকর্ষণের লক্ষ্য ছিল। আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী গোষ্ঠী থেকে প্রযুক্তিগত সুবিধা পেতে তারা হামলা চালিয়েছিল।
মনিরুল ইসলাম আরো বলেন, হোলি আর্টিজানের হামলার ঘটনায় মোট সাক্ষ্য নেওয়া হয়েছে ২১১ জনের। এর মধ্যে ১৪৯ জন ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ছিলেন। এর বাইরে বিভিন্ন সংস্থার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিভিন্ন অফিসার, ফরেনসিক টেস্ট যারা করেছেন, তাদের সাক্ষ্য নেওয়া হয়।
২০১৬ সালের ১ জুলাই এর সেই রাতে হোলি আর্টিজানে জঙ্গি হামলায় বিদেশিসহ ২০ জন মারা যায়। দু’জন পুলিশ কর্মকর্তাও জঙ্গি হামলায় মারা যান।
এই হামলার উদ্দেশ্য ছিলো আন্তর্জাতিক মহলে বাংলাদেশকে পাকিস্তানের মত একটা সন্ত্রাসী রাষ্ট হিসেবে পরিচিত করার। তবে তাদের সেই উদ্দেশ্য সফলতা পায়নি। আমাদের দেশের নাগরিকদের সর্বদা সচেতন থাকতে হবে, এইসব অপশক্তির বিরুদ্ধে।
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডি :/ এম ইউ
Leave a Reply