
কোটা আন্দোলনকে ঘিরে গত কয়েক মাস ধরেই ছড়াচ্ছে উত্তাপ। এই রেশ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়িয়ে ছড়িয়ে পড়েছে অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতেও।
কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনকারীদের পক্ষে ফেইসবুকে পোস্ট দিয়েছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক মাইদুল ইসলাম। তার এই পোস্টের কারনে এ শিক্ষককে অবাঞ্ছিত ঘোষণার পাশাপাশি তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে উপাচার্যের কাছে স্মারকলিপি দিয়েছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের বিলুপ্ত কমিটির সভাপতি আলমগীর টিপু।
এরপরই বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তদন্তের উদ্যোগ নেওয়ার পর মাইদুল নিজের নিরাপত্তা চেয়ে প্রশাসনকে চিঠি দেন।
চিঠিতে তিনি লিখেছেন, গত ১৪ জুলাই এক ছাত্রলীগকর্মী তার ও পরিবারের ছবি পোস্ট করে ‘দেখে নেওয়ার হুমকি’ দিয়েছিলেন। এরপর আরও কয়েকজন তার বিরুদ্ধে ফেইসবুকে হুমকি দিতে থাকায় ১৫ জুলাই ক্যাম্পাসের বাসা ছেড়ে দেন তিনি।
তিনি বলেন, “গত ১৬ জুলাই ২০ থেকে ৩০ জন ছেলে সমাজতত্ব বিভাগে আমাকে খুঁজতে যায়। না পেয়ে বিভাগীয় সভাপতিকে নালিশ করেন। পরদিন বানোয়াট তথ্য দিয়ে আমাকে চাকরিচ্যুত করার জন্য উপাচার্যকে স্মারকলিপি দেয়।”
বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর লিটন মিত্র শিক্ষক মাইদুলের এই চিঠি পাওয়ার কথা জানিয়ে বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ামানুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”
টিপুর দেয়া স্মারকলিপির পর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশসন তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করে। কমিটিকে সাত কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
গত বছরের শেষ দিকে বর্ধিত গৃহকরের আন্দোলনে থাকা চবি শিক্ষক মুহাম্মদ আমীর উদ্দিনকে ক্লাস রুমে গিয়ে অস্ত্র ঠেকানোর অভিযোগও রয়েছে টিপুর অনুসারীদের বিরুদ্ধে।
এরপর টিপুর নেতৃত্বে একদল ছাত্রলীগকর্মী উপাচার্যের সঙ্গে দেখা করে শিক্ষক আমীরের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে স্মারকলিপি দিয়েছিলেন। স্মারকলিপি দিয়ে বের হয়ে আসার সময় উপাচার্য়ের কার্যালয়ের বাইরে ভাংচুর চালায় তারা।
কারো ব্যক্তিগত মতামত এবং তা প্রকাশের অধিকার সকল নাগরিকেরই রয়েছে। এটি একটি গনতান্ত্রিক রাষ্ট্রের মূল বিষয়। তবে ভিন্ন মতাদর্শের কারনে হুমকি-ধামকি কখনো সুষ্ঠু রাজনীতির অংশ হতে পারে না।
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডি :/ এম ইউ
Leave a Reply