
গত রোববার বাসচাপায় দুই শিক্ষার্থীর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়। এই মৃত্যুর বিচারসহ ৯ দফা দাবি আদায়ে সারাদেশেই বিভিন্ন অঞ্চলে বিক্ষোভ করেছেন শিক্ষার্থীরা। নারায়নগঞ্জে এ আন্দোলনের কারণে বুধবার (০১ আগস্ট) সকাল থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত শহরে বন্ধ ছিলো যান চলাচল।
এর মধ্যে পুলিশের গাড়ি চললেও আন্দোলনকারীদের দেখাতে হয়েছে ড্রাইভিং লাইসেন্স। তা দেখাতে ব্যর্থ হলে সাধারণ মানুষের পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বরতদের গাড়িও আটকে দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
বুধবার শহরের চাষাঢ়া এলাকায় ঘুরে দেখা যায়, আন্দোলনের সময় এ এলাকায় কোনো যাত্রীবাহী পরিবহন চলাচল করতে দেয়নি শিক্ষার্থীরা। মোটরসাইকেল, টহল পুলিশের গাড়ি চলাচলে শিক্ষার্থীদের দেখাতে হয়েছে লাইসেন্স। তবে এতে মুক্তি মিললেও গাড়ি চালিয়ে নয়, হেঁটে যেতে হয়েছে তাদের।
এসময় তোলারাম কলেজের শিক্ষার্থী সৌরভ বলেন, আমরা সকাল থেকে আন্দোলন করছি। যেহেতু কোন যানবাহন যাচ্ছে না, সেহেতু পুলিশকেও হেঁটেই যেতে হবে। আন্দোলন সবার জন্যই। তাদের লাইসেন্সও দেখছি আমরা।
রাকিব নামে নারায়ণগঞ্জ কলেজের এক শিক্ষার্থী বলেন, লাইসেন্স দেখা আমাদের যৌক্তিক আন্দোলন নয়। আমরা চাই সবাই নিয়ম মেনে গাড়ি চালাবে। যাতে আর কোনো প্রাণ অকালে ঝরে না যায়।
এর মধ্যে পুলিশের অতিরিক্ত সদস্যদের বহন করা একটি পিকাপও আটকে দেয় শিক্ষার্থীরা। পরে সদর মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) দিয়ে তাদেরকে পায়ে হাঁটিয়ে নিয়ে আসেন ও জিয়া হলের মধ্যে অবস্থান করতে বলেন।
ছাত্রদের এই যৌক্তিক আন্দোলনের মাধ্যমেই সময় এসেছে পুরো দেশের পরিবহন ব্যবস্থাকে একটি শৃঙ্খলার মধ্যে নিয়ে আসবার। সড়ক দুর্ঘটনায় আর কোনো লাশ দেখতে চায় না জনসাধারন।
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডি :/ এম ইউ
Leave a Reply