
রোববার (০৫ আগস্ট) বনানীতে শেখ কামালের কবরে শ্রদ্ধা নিবেদনের পর সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, রাস্তায় দাঁড়িয়ে কেউ আওয়ামী লীগ অফিসের দিকে গুলি করতে করতে এলে তাদের বল প্রয়োগ না করে চুমু খাবে নাকি।
ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে হামলার প্রসঙ্গ উল্লেখ করে তিনি এ কথা বলেন। এইদিন রোববার শেখ কামালের জন্ম দিন উপলক্ষে শ্রদ্ধা জানায় আওয়ামী লীগ।
শ্রদ্ধা জানানো শেষে ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, একটি রাজনৈতিক মহলের আচরণের জন্য দেশের মানুষ আজ ক্ষুব্ধ-বিরক্ত। আমরা জনগণকে এ অশুভ শক্তি প্রতিরোধ করার আহ্বান জানাচ্ছি।
বাচ্চাদের উপর কোনো বল প্রয়োগ হবে না। এখন আপনি রাস্তায় দাঁড়িয়ে আওয়ামী লীগ অফিসের দিকে গুলি করতে করতে আসবেন, তাদের কি বল প্রয়োগ করবে, না চুমু খাবে? তবে তাদের সব দাবি মেনে নেওয়া হয়েছে। শিক্ষার্থীদের আমরা ঘরে ফিরে যেতে আহ্বান জানিয়েছি। ইতোমধ্যে অনেকে ঘোষণা দিয়েছে চলে যাবে।
কাদের আরও বলেন, আজকে ছাত্র-ছাত্রীদের নিরাপদ সড়কের দাবিতে যে অরাজনৈতিক আন্দোলন, সেই আন্দোলন কারা নোংরা রাজনীতির দিকে নিয়ে যেতে চায়, সেটা গত তিনদিনে পরিষ্কার হয়ে গেছে।
শনিবার তো দিবালোকের মত পরিষ্কার হয়ে গেছে কারা এর পেছনে আছে? বিএনপি এবং তাদের দোসররা কিভাবে এই নিরীহ কোমলমতি আন্দোলনের মধ্যে অনুপ্রবেশ করে নোংরা রাজনীতির খেলায় পরিণত করেছে তা দেশবাসী লক্ষ্য করেছে। বিএনপি নেতা আমীর খসরুর ফোনালাপে তা পরিষ্কার হয়ে গেছে। সে আহ্বান কি অশুভ শক্তির চক্রান্তের প্রমাণ করে না।
ওবায়দুল কাদের বলেন, এ আন্দোলনকে ঘিরে ছাত্র-ছাত্রীদের সামনে দিয়ে পেছনে বয়স্ক-বয়স্ক অনেকে যাদের বয়স ৩৫-৪০ বছর তারা স্কুল-কলেজের ড্রেস বানিয়ে নেমেছিল। বিএনপি এবং উগ্র সাম্প্রদায়িক শক্তিরা ছাত্রছাত্রীদের পোশাক পরে ফেইক আইডি-কার্ড বানিয়ে ধোঁকাবাজির যে নোংরা রাজনীতি ও বিধ্বংসী রাজনীতির সূচনা তারা করেছে।
‘আওয়ামী লীগ অফিসে মেয়েদের নাকি আটকে রেখেছে, একটি মেয়ে কাঁদতে কাঁদতে মুখ ঢাকা আহাজারি করছে। আমি আওয়ামী লীগ অফিসে ধর্ষিত হচ্ছি, আওয়ামী লীগ অফিসে আমাকে ধর্ষণ করা হচ্ছে, আমাকে বাঁচান, আমাকে রক্ষা করুন। এ নোংরা রাজনীতিও বিএনপি করতে পারে। তাদের দোসররা করতে পারে।
এটা কালকে স্পষ্ট হয়ে গেছে। গভীর রাতে সেই মেয়েটি উত্তরায় ধরা পড়েছে। অনেক ঘটনাই ফাঁস হয়ে যাবে সবার ছবি আছে। সবার কার্যক্রম আমরা নিরবে লক্ষ্য করেছি। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা কোনো প্রকার বল প্রয়োগে যায় নি’।
সড়ক পরিবহনমন্ত্রী বলেন, আমি ছাত্র-ছাত্রীদের আবারও অনুরোধ করবো, তোমাদের দাবি সরকার মেনে নিয়েছে। সব দাবি মেনে নেওয়ার পর দেশে বিশৃঙ্খলা, অশান্তি সৃষ্টি করার জন্য নোংরা রাজনীতির কারা আজকে পাঁয়তারা করছে।
আমরা দেশের জনগণের কাছে আহ্বান জানাবো এ অশুভ শক্তি যতদিন দেশে রাজনীতিতে থাকবে এরা তত দিন অশান্তি করবে। এ অশান্তির হোতা বিএনপি এবং তাদের দোসররা। অশান্তির রাজনৈতিক শক্তিকে যে কোনো মূল্যে প্রতিরোধ করতে হবে।
বেশিদিন ধরে চলা কোনো আন্দোলন নিরপেক্ষ থাকতে পারে না। বিভিন্ন দল-মতের মানুষ এসে সেখানে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করবার অপচেষ্টা চালায়। তাই সরকারের উচিৎ হবে যত শীঘ্র সম্ভব শিক্ষার্থীদের দাবী গুলো মেনে নিয়ে তাদের ঘরে ফিরিয়ে দেয়া।
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডি :/ এম ইউ
Leave a Reply