
সাম্প্রতিক সময়ে নিরাপদ সড়কের দাবিতে হওয়া আন্দোলন করে স্কুল কলেজের কোমলমতি শিক্ষার্থীরা। এই আন্দোলনকে ভর করে বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন মহল থেকে কিছু ঘটনা রটিয়ে পরে, যার বিশ্বাসযোগ্য সত্যতা এরপর পাওয়া যায়নি। এসব গুজব ছড়ানোর অভিযোগে অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করা হচ্ছে।
এরই প্রেক্ষিতে এবার উসকে দেয়া ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগ নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করার অভিযোগে পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পবিপ্রবি) এক শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার ও তিনজনকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়েছে।
এসব শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে নিরাপদ সড়ক আন্দোলনকে উসকে দিতে গুজব ছড়ানো ও ক্যাম্পাসকে অস্থিতিশীল করে তুলতে উসকানি দেয়ার অভিযোগ আনে ছাত্রলীগ।
মঙ্গলবার পবিপ্রবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মোশায়েদুল ইসলাম সাদির নেতৃত্বে এদের একটি তালিকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের হাতে তুলে দেয় সংগঠনটির নেতাকর্মীরা।
একইসাথে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে লিখিত অভিযোগ করেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মো. নাঈম হোসেন, দফতর সম্পাদক তুহিন রায়হান ও শের-ই-বাংলা হল-২ শাখার সাধারণ সম্পাদক রুবেল আহমেদ। অভিযোগকারীরা এ সময় দায়ী শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে ৪৮ ঘণ্টা সময় বেঁধে দেন।
এর প্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রশৃঙ্খলা বোর্ডের এক জরুরি সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক এক শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার ও তিনজনকে কারণ দর্শনোর নোটিশ দেয় কর্তৃপক্ষ। কৃষি অনুষদের ৬ষ্ঠ সেমিস্টারের শিক্ষার্থী নিজাম উদ্দিন সাব্বিরকে দোষী সাব্যস্ত করে জুলাই-ডিসেম্বর ২০১৮ সেমিস্টারের জন্য বহিষ্কার করা হয়।
এছাড়া এমবিএ শিক্ষার্থী নিশাত সালসাবিল উর্মি, বিএএম অনুষদের ৬ষ্ঠ সেমিস্টারের তানজিলা মুনিয়া এবং কৃষি অনুষদের ৪র্থ সেমিস্টারের মমতাজ বেগমকে কারণ দর্শনোর নোটিশ দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। তাঁদের বিরুদ্ধে কেন আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবেনা তা আগামী সাত কার্য দিবসের মধ্যে লিখিতভাবে উপস্থাপন করতে বলা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. স্বদেশ চন্দ্র সামন্ত স্বাক্ষরিত পৃথক পৃথক অফিস আদেশ থেকে এ তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে। অপর এক অফিস আদেশের মাধ্যমে এঘটনায় তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
তদন্ত কমিটির প্রধান করা হয়েছে কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের অধ্যাপক ড. এসএম তাওহিদুল ইসলামকে। এছাড়াও সিআইটি বিভাগের মো. মাহবুবুর রহমানকে সদস্য এবং ল্যাঙ্গুয়েজ অ্যান্ড কমিউনিকেশন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মো. মেহেদী হাসানকে সদস্য সচিব করা হয়েছে।
নৈতিক ও যৌক্তিক আন্দোলনে সফলতা এমনিই আসে। এইজন্যে কোনো গুজব ছড়িয়ে মানুষের সমর্থন আদায় করবার দরকার পড়ে না। এর পেছনে দেশকে অস্থিতিশীল করবার চেষ্টা থাকলে দোষীদের সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে বিচারের আওতায় নিয়ে আসা উচিৎ।
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডি :/ এম ইউ
Leave a Reply