
গত ২৯ জুলাই দুপুরে হোটেল র্যাডিসনের সামনে জিল্লুর রহমান ফ্লাইওভার ঘেঁষে রাস্তার বাঁ পাশে দাঁড়ানো শহীদ রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের একদল শিক্ষার্থীর ওপর উঠে যায়। এতে দুইজন শিক্ষার্থী ঘটনাস্থলে নিহত হয়।
এ নিয়ে এরপর দেশজুড়ে শুরু হয় বিক্ষোভ, এবং নিরাপদ সড়কের দাবীতে আন্দোলন।
জানা গেছে, রাজধানীর বিমানবন্দর সড়কে বাসচাপায় ওই দুই শিক্ষার্থীর প্রাণহানির ঘটনায় প্রত্যেকের পরিবারকে পাঁচ লাখ টাকা করে দেবে জাবালে নূর পরিবহন কর্তৃপক্ষ।
আজ রোববার বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের হাইকোর্ট বেঞ্চে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) দাখিল করা প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
পরে আদালত এ বিষয়ে পরবর্তী আদেশের জন্য ৭ অক্টোবর দিন ধার্য করেছেন।
আদালতে জাবালে নূরের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী পঙ্কজ কুমার কুণ্ডু। রিট আবেদনের পক্ষে ছিলেন আবেদনকারী আইনজীবী ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল।
পরে ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল সাংবাদিকদের বলেন, বিআরটিএর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জাবালে নূর দুই পরিবারকে পাঁচ লাখ টাকা করে দেবে। এ জন্য তারা সময় চেয়েছিল। কিন্তু আদালত সময় দেননি।
এদিকে, চালকদের ড্রাইভিং লাইসেন্স কোন যোগ্যতার ভিত্তিতে দেওয়া হয় এবং সড়কে চলাচলকারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বিআরটিএর নেওয়া পদক্ষেপের প্রতিবেদন নিয়ে শুনানির জন্য ৭ অক্টোবর দিন ঠিক করেছেন আদালত।
এর আগে গত ৩০ জুলাই এক রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্ট দুই পরিবারকে এই টাকা দেওয়ার ব্যাপারে আদেশ দেন।
রিট আবেদনের পর ওই দিন ব্যারিস্টার কাজল বলেছিলেন, বিদ্যমান যে ট্রাফিক আইন আছে, তার যথাযথ প্রয়োগের মাধ্যমে যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না এবং শহীদ রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের নিহত দুই শিক্ষার্থীর প্রত্যেকের পরিবারকে ব্যাংক ইন্টারেস্টসহ দুই কোটি টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
আদালত দুই পরিবারের তাৎক্ষণিক চাহিদা মেটানোর জন্য জাবালে নূর পরিবহনকে এক সপ্তাহের মধ্যে পাঁচ লাখ টাকা করে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। আহত হয়ে যেসব শিক্ষার্থী হাসপাতালে আছে, তাদের চিকিৎসা নিশ্চিত করতে চিকিৎসা খরচ বহন করতে ওই পরিবহনকে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।
নিরাপদ সড়কের দাবীতে আন্দোলন হলেও তার কতটাই বা আমরা নিজেরা মেনে চলছি? ফুট ওভারব্রীজ ব্যবহার না করা, সিগন্যাল অমান্য করা, ফোনে কথা বলতে বলতে রাস্তা পার হওয়া, এসব দৃশ্য তো হরহামেশাই চোখে পড়ে।
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডি :/ এম ইউ
Leave a Reply