
মঙ্গলবার দুপুরে নয়াপল্টন বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলের যৌথসভা শেষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন কারাবন্দী বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য জোরালো আন্দোলন কর্মসূচী আসছে।
ফখরুল বলেন, দেশে ক্রান্তিকাল চলছে। আশঙ্কা রয়েছে আগামীতে দেশে গণতন্ত্র থাকবে কি থাকবে না। তাই একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আর এমন যদি হয় বিএনপি নির্বাচনে অংশ নিল না, তাহলে কি নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হবে? গ্রহণযোগ্য হবে না।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা তো বলেছি প্রথম শর্ত খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিতে হবে, তারপর নির্বাচনী পরিবেশ তৈরি করতে হবে। সংসদ ভেঙ্গে দিয়ে নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে এবং নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন করতে হবে। আর নির্বাচনকালে সেনা মোতায়েন করতে হবে।
ফখরুল বলেন, আওয়ামী লীগের চ্যালেঞ্জ হচ্ছে জনগণ তাদের ভোট দেবে না, সেই জনগণকে তারা কীভাবে মোকাবেলা করবে। ইতোমধ্যে দেখেছেন জনগণ কিভাবে তাদের পুঞ্জীভূত ক্ষোভে ফুঁসে উঠেছেন। তাই তারা যদি ফের জোর করে ভোটবিহীন নীলনক্সার মাধ্যমে ক্ষমতায় যেতে চায়, তাহলে জনগণের প্রতিরোধে তাদের ঘর তাসের ঘরের মতো ভেঙ্গে যাবে।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, খালেদা জিয়া উড়ে এসে রাজনীতে বসেননি। ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে জিয়াউর রহমানকে হত্যা করার পর অনেকে ভেবেছিল বিএনপি শেষ, ভেঙ্গে যাবে। কিন্তু তখন খালেদা জিয়া জাতীয়তাবাদী পতাকা হাতে দীর্ঘ ৯ বছর স্বৈরাচার এরশাদের বিরুদ্ধে লড়াই করে সংসদীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছেন। তাই তো সরকারের ভাবনায় খালেদা জিয়া ও বিএনপি। তিনি বলেন, সরকার বিএনপি ছাড়া কাকে মোকাবেলা করবে? বিএনপি ছাড়া কোন দল আছে নাকি ?
খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে বিএনপির কোন কর্মসূচী নেই কেন ? এমন এক প্রশ্নের জবাবে ফখরুল বলেন, এটা ভুল কথা আপনাদের। আমাদের প্রত্যেক দিনই কোন না কোন কর্মসূচী থাকে। আবারও সময়মতো জোরালো কর্মসূচী আসছে। জোরালোভাবেই এ কর্মসূচী পালন করা হবে। সঠিক সময়ে দেখতে পাবেন কেমন কর্মসূচী আসছে।
ফখরুল বলেন, বিএনপিকে ক্ষমতায় আসার জন্য নয়, মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য, গণতন্ত্রকে প্রতিষ্ঠা করার জন্য একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এ নির্বাচনে যদি বিএনপি না যায় তাহলে সে নির্বাচন কখনই গ্রহণযোগ্য হবে না, কোনদিন হতে পারে না। সুতরাং নির্বাচনটাকে গ্রহণযোগ্য করার জন্য, নির্বাচনকে অর্থবহ করার জন্য সরকারের সবচেয়ে বড় দায়িত্ব রয়েছে, সেই সঙ্গে গণমাধ্যম ও সুশীল সমাজেরও দায়িত্ব রয়েছে।
এ বছরের ডিসেম্বরের দিকেই জাতীয় নির্বাচন হতে যাচ্ছে। নির্বাচনে সকল দল অংশগ্রহন করে একটি গনতান্ত্রিক ভাবধারার সৃষ্টি করবে, এমনটাই আশা সাধারন জনগনের।
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডি :/ এম ইউ
Leave a Reply