
গত মঙ্গলবার (২৮ আগস্ট) রাতে পাবনা পৌর সদরের রাঁধানগর মহল্লায় আদর্শ গার্লস হাইস্কুলের সামনে ভাড়া বাসায় ফেরার পথে বাসার সামনেই সুবর্ণা নদী নামে এক গনমাধ্যম কর্মীকে কয়েকজন দুর্বৃত্ত উপর্যুপরি কুপিয়ে রক্তাক্ত করে পালিয়ে যায়। এরপর তাৎক্ষণিক তাকে উদ্ধার করে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
সুবর্ণা আনন্দ টিভি’র পাবনা প্রতিনিধি ছিলেন। অনলাইন পোর্টাল দৈনিক জাগ্রতবাংলার সম্পাদক ও প্রকাশক ছিলেন। পাশাপাশি পাবনা বার্তা ২৪ ডটকমসহ কয়েকটি গণমাধ্যমে কাজ করতেন।
মৃত্যুর আগে মাকে তার ওপর হামলাকারীদের নাম বলে গেছেন দুর্বৃত্তদের হামলায় নিহত এই নারী সাংবাদিক । তার সাবেক স্বামী রাজীব ও রাজীবের সহকারী মিলনসহ কয়েকজন তাকে কুপিয়েছেন বলে আহতবস্থায় মাকে জানিয়েছিলেন সুবর্ণা।
সুবর্ণার মা মর্জিনা বেগম বলেন, ‘আহত মেয়েকে নিয়ে আমি হাসপাতালে যাই। হাসপাতালে যাওয়ার পথে সে আমাকে হামলাকারীদের নাম বলে। সে বলে, রাজীব ও তার সহকারী মিলনসহ কয়েকজন তাকে কুপিয়েছে। আমি তাদের চিনতে পেরেছি। আমি তাদের ফাঁসি চাই।’
সুবর্ণার বড় বোন চম্পা খাতুনও সাংবাদিকদের কাছে দাবি করেছিলেন, পাবনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে আদালতে একটি যৌতুক মামলা করেন। এ মামলায় সুবর্ণা তার সাবেক স্বামী রাজীব ও তার বাবা আবুল হোসেনসহ তিনজনকে আসামি করেন। মামলাটি আদালতে বিচারাধীন। মঙ্গলবার (২৮ আগস্ট) এ মামলায় সাক্ষ্য দিয়েছেন তিনি। সাক্ষ্য রাজীবের বিপক্ষে যাওয়ায় তাদের সঙ্গে আদালত প্রাঙ্গণে বাকবিতণ্ডা হয়। এ কারণেই তাকে হত্যা করা হয়েছে।
এদিকে তার সাবেক শ্বশুর পাবনার ইদ্রাল ইউনানি কোম্পানি ও শিমলা ডায়াগনস্টিকের মালিক আবুল হোসেনকে আটক করেছে পুলিশ। এছাড়া সুবর্ণার বাড়ির কেয়ারটেকার ইমরান হোসেনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। তবে রাজীব এখনও পলাতক।
এর আগে সুবর্ণার একবার বিয়ে হয়েছিল। সেই সংসারের জান্নাত নামের ৬ বছরের কন্যা সন্তান ও মাকে নিয়ে শহরের রাঁধানগর মহল্লায় আদর্শ গার্লস হাইস্কুলের সামনে বাসা ভাড়া থাকতেন।
নিজ বাসার সামনেই এমন নৃশংস হত্যাকান্ডের শিকার হন নদী। এর দ্রুত বিচার প্রয়োজন। তা নাহলে সমাজে এমন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড করে পার পেয়ে যাবে এইসব ঘৃণ্য অপরাধীরা। যা কখনোই সমাজের জন্যে মঙ্গলজনক হবে না।
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডি :/ এম ইউ
Leave a Reply