
সপ্তাহ খানেক আগেই নিরাপদ সড়কের দাবীতে সোচ্চার হয় উঠেছিলো দেশের ছাত্রসমাজ। যাতে একাত্মতা পোষণ করেছিলেন দেশের সাধারন মানুষও।
তবে পরিস্থিতির এতে কোনো উত্তরণ হয়েছে বলে দেখা যাচ্ছে না।
সড়কে মানুষের নিরাপত্তা নিয়ে যখন সারাদেশের মানুষ উদ্বিগ্ন, ঠিক এমন সময়েই টাঙ্গাইলে এক বাসচালকের বিরুদ্ধে প্রতিবন্ধী এক নারীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতারকৃত চালকের সহকারী আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিও দিয়েছে।
শনিবার (১ সেপ্টম্বর) ধর্ষণের শিকার হওয়া ওই নারীকে সরকারি আশ্রয়কেন্দ্রে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত। বৃহস্পতিবার (৩০ আগস্ট) রাতে টাঙ্গাইলের বঙ্গবন্ধু সেতুর পূর্ব প্রান্তের বাসস্ট্যান্ডে এ ঘটনা ঘটে বলে জানা যায়।
বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) নুরে আলম জানান, বৃহস্পতিবার রাত ১২টার দিকে বঙ্গবন্ধু সেতুর পূর্ব প্রান্তে পুলিশের টহলরত সদস্যরা ওই এলাকার নৈশপ্রহরীর কাছে এ ঘটনা জানতে পারেন। ঘটনা জানার পরপরই পুলিশ ওই বাস থেকে আক্রান্ত নারীকে উদ্ধার করেন। উদ্ধারের পর ওই নারী ধর্ষণের অভিযোগ করলে পুলশ বাসের হেল্পার নাজমুলকে (২৫) আটক করে।
শুক্রবার (৩১ আগস্ট) এসআই নুরে আলম বাদী হয়ে বাসের চালক আলম খন্দকার (৪৫) ও হেল্পার নাজমুলকে আসামি করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেন। চালক আলম খন্দকারের বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও হেল্পার নাজমুলের বিরুদ্ধে ধর্ষণে সহায়তা করার অভিযোগ আনা হয়।
আলম খন্দকার ভূঞাপুর উপজেলার ভূঞাপুর গ্রামের মৃত ইন্নছ আলীর ছেলে। নাজমুল একই উপজেলার যমুনা ৩ নম্বর পুনর্বাসন এলাকার আতোয়ার রহমানের ছেলে বলে জানা যায়।
আদালত ও পুলিশ সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার রাত ১০টার পর ওই নারী টাঙ্গাইল নতুন বাস টার্মিনাল থেকে বঙ্গবন্ধু সেতুর পূর্ব প্রান্তগামী বাসটিতে ওঠেন। সব যাত্রী নামিয়ে বাসটি পূর্ব প্রান্তের বাসস্ট্যান্ডে পৌঁছালে ওই নারীকে ধর্ষণ করেন আলম খন্দকার।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব থানার এস.আই কবিরুল হক জানান, ওই নারী মানসিক প্রতিবন্ধী এবং তাকে আদালত গাজীপুরের পুবাইলে সরকারি আশ্রয়কেন্দ্রে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন।
বাস চালক এবং হেল্পাররা কেবলমাত্র বেপরোয়া গতিতে বাস চালাচ্ছেন, তাই নয়। তারা বেপরোয়া হয়ে উঠছে আচার আচরণের। আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে চলেছে একের পর এক।
এই অবস্থা থেকে মুক্তির জন্যে আইনের কঠোর প্রয়োগ প্রয়োজন।
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডি :/ এম ইউ
Leave a Reply