
নাটোর রেল স্টেশনে আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এর পথ সভাকে ঘিরে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে আইন-শৃংঙ্খলা বাহিনী। পথ সভায় যোগদান নিয়ে দলীয় নেতা-কর্মীদের মধ্যে উত্তেজনা থাকায় প্রশাসনের এই সতর্ক অবস্থান বলে জানা গেছে।
এদিকে, দলীয় নেতা-কর্মীদের মধ্যে উত্তেজনা থাকায় সংঘর্ষের অাশংঙ্খা করছেন সরকারের বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা। এজন্য মনোনয়ন প্রত্যাশিদের কঠোর নির্দেশনা দিয়েছে আইন-শৃংঙখলা বাহিনী।
অপরদিকে, পথসভায় যোগ দিতে জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে আসতে শুরু করেছে দলীয় নেতা-কর্মীরা। সকাল থেকেই নেতা-কর্মীরা মিছিল নিয়ে পথসভায় যোগদান করছে।
সূত্র জানায়, বর্তমান সরকারের উত্তরাঞ্চলে নির্বাচনী সফর হিসেবে আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের সহ কেন্দ্রীয় নেতারা ট্রেন যোগে উত্তরাঞ্চল সফর করবেন। শনিবার সকাল ৮ টায় কমলাপুর রেলস্টেশন থেকে নীলসাগর আন্তঃনগর ট্রেনে নীলফামারী অভিমুখে রেলযাত্রা কর্মসূচি শুরু করবেন তিনি। যাত্রা পথে ওবায়দুল কাদের টাঙ্গাইল, সিরাজগঞ্জ, পাবনা, নাটোর, বগুড়া, জয়পুরহাট, দিনাজপুর ও নীলফামারী জেলার অন্তর্ভুক্ত রেল স্টেশনগুলোতে পথসভায় সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখবেন।
এই রেলযাত্রা কর্মসূচিতে জাহাঙ্গীর কবির নানক, ড. হাছান মাহমুদ, অসীম কুমার উকিল, আহমদ হোসেন, বি. এম মোজাম্মেল হক, আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, শামসুন নাহার চাঁপা, ডা. রোকেয়া সুলতানা, ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, পারভীন জামান কল্পনা, আনোয়ার হোসেন ও প্রফেসর মেরিনা জাহানসহ কেন্দ্রীয় নেতারা সাধারণ সম্পাদকের সফরসঙ্গী হিসেবে থাকবেন।
এরই অংশ হিসেবে নাটোর রেল স্টেশনে ওবায়দুল কাদের এর পথ সভার আয়োজন করে। জাতীয় নির্বাচনের আগে এই পথ সভা হওয়ায় নাটোরের মনোনয়ন প্রত্যাশীরা দলীয় নেতা-কর্মী নিয়ে যোগ দিবেন। সর্বোচ্চ নেতা-কর্মী প্রর্দশনে প্রতিযোগিতা থাকবে বলেও দলটির বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা যায়।
রেল স্টেশনের পথ সভায় আওয়ামীলীগ থেকে দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশি সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এবং জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম রমজানের কর্মী-সমর্থকরা শহরের তেবাড়িয়া, গুড় পট্টি এবং বেলঘড়িয়া এলাকা থেকে পথসভায় যোগ দিবেন।
তবে শরিফুল ইসলাম রমজান অভিযোগ করে বলেন, তার কর্মী-সমর্থকরা যাতে পথসভায় যোগদান করতে না পারে সেজন্য বর্তমান এমপি তার দলীয় লোকজন দিয়ে আমার লোকজনকে বিভিন্ন ভাবে হুমকি প্রদান করছে। মিছিলে বাধা প্রদান করার নির্দেশও দিয়েছে এমপি। এতে করে আমরা সংঘর্ষের আশঙ্কা করছি।
তিনি আরও বলেন, কেন্দ্রীয় নেতাদের পথসভায় যে কেউ যোগদান করতে পারে। কিন্তু বাধা প্রদান করতে হবে কেন।এছাড়া সাবেক যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী এবং জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি আহাদ আলী সরকারের কর্মী-সমর্থকরা পৌরসভার সামনে থেকে মিছিল নিয়ে পথ সভায় যোগদান করবেন।
জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এডভোকেট এম মালেক শেখ পশ্চিম বাইপাস থেকে দলীয় নেতা-কর্মী এবং সমর্থকদের নিয়ে পথসভায় যোগদান করবেন।
এছাড়া নাটোর পৌরসভার মেয়র ও জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি উমা চৌধুরি জলি তার সমর্থকদের নিয়ে পথসভায় যোগদান করবেন।
ব্যাপক দলীয় নেতা-কর্মী নিয়ে পথসভায় যোগ দিবেন কিনা এমন প্রশ্নে উমা চৌধুরি জলি বলেন, আমি সংঘাতের রাজনীতির বিশ্বাস করিনা। তাছাড়া আমি কোন শক্তি প্রয়োগও করতে চাই না। কেন্দ্রীয় নেতারা আসবেন, সেখানে অংশ গ্রহন করে যে নির্দেশেনা প্রদান করেন সেটাই মেনা চলবো।
তাছাড়া বর্তমান সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম শিমুল এর নির্বাচনী এলাকার বিভিন্ন স্থান থেকে দলীয় নেতা-কর্মীরা পথসভায় যোগদান করবেন।
তবে দলীয় নেতা-কর্মীদের মধ্যে উত্তেজনা থাকায় সংঘর্ষের অাশংঙ্খা করছেন সরকারের বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা। এজন্য মনোনয়ন প্রত্যাশিদের কঠোর নির্দেশনা দিয়ে আইন-শৃংঙ্খলা বাহিনী।
তবে সংঘাতের সকল তথ্য উড়িয়ে দিয়েছেন নাটোরের পুলিশ সুপার বিপ্লব বিজয় তালুকদার। তিনি বলেন, পথসভাকে ঘিরে সর্বোচ্চ সর্তকতামুলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। কেউ যদি সংঘাতের চেষ্টা করে তাকে দায়-দায়িত্ব নিতে হবে।
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডি:/আমিরুল ইসলাম
Leave a Reply