
নাটোরে সুমা খাতুন নামে এক রোহিঙ্গা নারীকে আটক করেছে গোয়েন্দা পুলিশ। এ সময় তার সহযোগী ফারুক ইসলামকেও আটক করা হয়।
গত রবিবার বিকেলে শহরের চকরামপুর এলাকায় সন্দেহজনক গতিবিধির কারণে তাদের আটক করা হলেও সোমবার দুপুরে তাদের আটক দেখিয়ে সাংবাদিকদের সামনে আনা হয়। আটক ফারুক ইসলাম নাটোর সদর উপজেলার আহমেদপুর গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে।
নাটোর গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সৈকত হাসান জানান, রবিবার বিকেলে শহরের চকরামপুর এলাকায় পাসপোর্ট অফিসের সামনে সন্দেহজনক গতিবিধির কারণে সুমা খাতুন ও তার সহযোগী ফারুক ইসলামকে আটক করা হয়। পরে তাদেরকে গোয়েন্দা পুলিশের অফিসে এনে জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে সুমা খাতুন লালপুর উপজেলার দুয়ারিয়া ইউনিয়ন পরিষদের জন্ম নিবন্ধন দেখায়।
জন্ম নিবন্ধনে তার বাবার নাম বদির উদ্দিন ও মাতার নাম শাহেরা বেগম লেখা রয়েছে। জন্ম নিবন্ধন ইস্যুর তারিখ ১০ এপ্রিল ২০১৮ দেখানো হয়েছে। তার বাড়ি একই উপজেলার দূর্গাপুর গ্রামে। ফারুক ইসলামের সহযোগিতায় সুমা খাতুন এই জন্ম নিবন্ধন করেছে বলে ধারণা পুলিশের। পুলিশ জানায়, জিজ্ঞাসাবাদে সুমা স্বীকার করেছে, সে একজন রোহিঙ্গা নারী।
এদিকে, সমাজবোদ্ধারা প্রশ্ন তুলেছেন, অসহায়ত্বের সুযোগ নিয়ে সুন্দরী রোহিঙ্গা নারীদের টার্গেট করে যারা বাংলাদেশের নাগরিকত্ব জোগাড় করে পাসপোর্ট তৈরীর মাধ্যমে তাদের বিদেশে পাচারের মত অপরাধে যুক্ত হচ্ছে তাদের ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে আরো বেশী সতর্ক হতে হবে। কেই বা জানে সুমা খাতুনের মত সুন্দরী রোহিঙ্গা নারীরা বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েনি তো?
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডি:/আমিরুল ইসলাম
Leave a Reply