
গতকাল বুধবার রায় দেয়া হয় ২১ শে আগস্টের বর্বরোচিত গ্রেনেড হামলার। বহুল আলোচিত এই রায়ে অনেককে বিস্মিত করে যাবজ্জীবন দেয়া হয়েছে খালেদা পুত্র তারেক রহমানকে। এই বিচার নিয়ে আওয়ামীলীগ পুরোপুরি সন্তুষ্ট হতে পারে নি।
রায়ের পর যখন আইনজীবীরা প্রতিক্রিয়া দিতে ব্যস্ত তখন পিছনে দাঁড়ানো একজনকে দেখা গেল বড় গলায় কথা বলতে। তিনি বলছিলেন, ‘এটা প্রসহনের বিচার’। দু’তিন জন আইনজীবী তাকে থামানোরও চেষ্টা করলেন। বোঝালেন, এখানে অনেক সাংবাদিক রয়েছে। সুতরাং কিছু বলার দরকার হলে চেম্বারে আসেন। এরপরও থামলেন না তিনি। বলেই গেলেন। পরে এক আইনজীবী তার কানে ছোট মুখে কিছু একটা বললেন। এরপর থেমে গেলেন তিনি।
বিষয়টা দেখার পর তার পরিচয় জানতে চাইলে বলেন, আমি আলহাজ্ব বদর আজিজ উদ্দিন। এ মামলার বাদী, ভিকটিম ও একমাত্র প্রতাক্ষদর্শী স্বাক্ষী। তিনি নিজেকে আওয়ামী লীগের একজন একনিষ্ঠ কর্মী বলেও দাবি করেন।
রায়ের প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটা প্রসহনের বিচার। আমি এ বিচার মানি না। এ ঘটনার মূলহোতা তারেক রহমানের যাবজ্জীবন রায় দেওয়া হয়েছে। যা কখনোই গ্রহণযোগ্য নয়। এ রায় আমি মানি না। তাছাড়া এই হামলার পরিকল্পনা হয়েছে হাওয়া ভবনে। সেখানের নেতৃত্বে ছিলেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। তাকে এই মামলায় আসামি করা হয়নি।’
তিনি আরও বলেন, খালেদা জিয়াকে আসামী হিসেবে অন্তর্ভূক্ত করা হোক এবং অধিকতর তদন্তের মাধ্যমে ও আইন সিদ্ধভাবে আসামিদের বিচার করা হোক। মূল আসামিদের রেখে অন্যদের বিচার করা একটা আইওয়াস মাত্র। এ বিচার মেনে নেয়া যায় না। আমি এ বিষয়ে অবশ্যই উচ্চ আদালতে আপিল করব।
বিষয়টি নিয়ে উচ্চ আদালতে আপিল পর্যন্ত গড়ালে সেটি নতুন করে বিএনপির মাথাব্যথার কারন হতে পারে, এ কথা বলা যায়।
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডি :/ মোঃ মোস্তফা কামাল
Leave a Reply