
সোমবার বিকেল চারটায় রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন ঐক্যফ্রন্টের নেতা গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন। তিনি বলেছেন, নির্বাচনী প্রার্থী হওয়ার বা রাষ্ট্রীয় কোনো পদ পাওয়ার ইচ্ছা তাঁর নেই। তিনি এ–ও বলেছেন, জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট কোনো নির্বাচনী জোট নয়, এটা সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য জনমত গঠনে কাজ করবে।
অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের লক্ষ্য অর্জনে কাজ করা ছাড়া অন্য কোনো বিষয়ে এ প্রক্রিয়ায় সম্পৃক্ত দলগুলোর মধ্যে কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই। এ ছাড়া জানান, জামায়াতে ইসলামী, তারেক রহমানসহ অন্য কোনো বিশেষ নেতার প্রতি সমর্থন হিসেবে এই উদ্যোগকে দেখার সুযোগ নেই।
তারেক রহমানকে সমর্থন করেন না কিন্তু তিনি তো বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে কামাল হোসেন বলেন, ব্যক্তি তারেক রহমানের সঙ্গে তাঁর কোনো সম্পর্ক নেই।
ড. কামাল হোসেন সংবাদ সম্মেলনে বলেন, দেশের জনগণ এমন একটি নির্বাচন দেখতে চায়, যে নির্বাচনে তারা ভয়ভীতি ও প্রভাব ছাড়া তাদের প্রতিনিধি নির্বাচন করতে পারবে। জনগণের উদ্বেগ ও আগ্রহের পরিপ্রেক্ষিতে গণফোরাম বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও দেশের নাগরিক সমাজের কয়েকজন প্রতিনিধির সঙ্গে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টির জন্য আলোচনার মাধ্যমে এ সাত দফার ব্যাপারে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠা করেছে। আজকের সাত দফায় আছে বর্তমান সংসদ ভেঙে দেওয়া, মন্ত্রিসভার পদত্যাগ, রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে সরকার গঠন, রাজনৈতিক বন্দীদের মুক্তি, বাক্–স্বাধীনতা ও সভা-সমাবেশের অধিকার নিশ্চিত করা, নির্বাচন কমিশনের পুনর্গঠন, ইভিএমের ব্যবহার না করা।
অবশ্য ১৩ অক্টোবর জাতীয় প্রেসক্লাবে ড. কামাল হোসেনের সভাপতিত্বে গণফোরাম, বিএনপি, জেএসডি ও নাগরিক ঐক্যের সমন্বয়ে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট গঠিত হয়। সেখানে ৭ দফা ও ১১টি লক্ষ্য ছিল। ড. কামালের গণফোরামের সাত দফার সঙ্গে তাঁর জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সাত দফার সঙ্গে পুরোপুরি মিল নেই। ঐক্যফ্রন্টের সাত দফার প্রথমেই আছে বিএনপির চেয়ারপারসনের মুক্তির দাবি।
জাতীয় সংসদে কামাল হোসেনকে নিয়ে সরকারদলীয় সাংসদেরা সমালোচনা করছেন, এ ব্যাপারে তিনি বলেন, তিনি এখন এসব সমালোচনার ব্যাখ্যা দেওয়ার প্রয়োজন বোধ করেন না।
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডি :/ মোঃ মোস্তফা কামাল
Leave a Reply