
সামনে আসন্ন জাতীয় নির্বাচনকে রেখে বহিষ্কৃত কিংবা পদত্যাগ করা নেতাদের দলে ভিড়িয়ে আনছে বিএনপি।
দুপুরে এক সংবাদ ব্রিফিঙে দলের এমন সিদ্ধান্তের কথা জানান দলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
এর মধ্যে দলের নেতৃত্বের বিরুদ্ধে বক্তব্য রাখার জন্য বহিষ্কৃত স্থায়ী কমিটির সদস্য চৌধুরী তানভীর আহমেদ সিদ্দিকীর বহিষ্কারাদেশও আদেশ তুলে নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি চাঁদপুর-২ আসনের সাবেক সাংসদ এসএ সুলতান, যিনি সংস্কারপন্থি হিসেবে দল থেকে পদত্যাগ করেছিলেন, তার সদস্যপদও ফিরিয়ে দিয়েছে দলে।
তিনি বলেন, “দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের কাছে আবেদনের প্রেক্ষিতে তার নিদের্শক্রমে দলের যারা ইতিপূর্বে অব্যহতিপ্রাপ্ত ছিলেন এবং বহিষ্কার হয়েছিলেন তাদের অব্যহতি ও বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করা হয়েছে।
“এরা হলেন সাবেক স্থায়ী কমিটির সদস্য সাবেক মন্ত্রী চৌধুরী তানভীর আহমেদ সিদ্দিকী (গাজীপুর), সাবেক প্রতিমন্ত্রী ও দলের সাবেক শিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক আলমগীর কবির (নওগাঁ), সাবেক হুইপ দলের নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু ইউসুফ মো. খলিলুর রহমান (জয়পুরহাট) ও সাবেক হুইপ ও রেড ক্রিসেন্টের সাবেক চেয়ারম্যান শহীদুল হক জামাল (বরিশাল)।”
তিনি আরো বলেন, “দল থেকে পদত্যাগ করা চাঁদপুর জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি সাবেক সাংসদ এসএ সুলতান টিটুর সদস্যপদ ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। সাবেক দপ্তর সম্পাদক মফিকুল হাসান তৃপ্তিরও বহিস্কারাদেশ প্রত্যাহার করা হয়েছে।”
২০০৭ সালে জরুরি অবস্থা জারির পর সেনা নিয়ন্ত্রিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার আমলে দুই নেত্রী শেখ হাসিনা ও খালেদা জিয়াকে নিজ নিজ দলের নেতৃত্ব থেকে সরানোর চেষ্টা হয়েছিল।
তখন তৎকালীন বিএনপি মহাসচিব আবদুল মান্নান ভূইঁয়ার নেতৃত্বে একদল দলে সংস্কারের দাবি তুলেছিল। তখন গ্রেপ্তার হওয়ার আগে মহাসচিব মান্নান ভূঁইয়া, তৎকালীন যুগ্ম মহাসচিব আশরাফ হোসেন, তৎকালীন দপ্তর সম্পাদক মফিকুল হাসান তৃপ্তিকে বহিষ্কার করে যান বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।
খালেদা বন্দি অবস্থায় তখন দুটি ধারায় বিএনপি চলছিল; তবে খালেদা জিয়া মুক্তি পাওয়ার পর সংস্কারপন্থিরা চুপসে যান, তাদের কাউকে কাউকে দলে ফেরানো হলেও অনেকে রাজনীতিতে নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়েন। কয়েকজনকে বহিষ্কার করা হয়।
তখন যারা বহিষ্কৃত হয়েছিলেন কিংবা অন্য দলে চলে গিয়েছিলেন, একাদশ সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে তাদের দলে ফেরাতে সম্প্রতি উদ্যোগী হয় বিএনপি।
এর অংশ হিসেবে গত ২৫ অক্টোবর গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে সাবেক ১১ জন সাংসদকে নিয়ে বৈঠক করেন মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
একসময়ের সংস্কারপন্থীদের দলে ভিড়িয়ে বিএনপি কতটা উপকৃত হতে পারে, তা বিতর্ক সাপেক্ষ। তবে জনগন তাঁদের যোগ্যতম নেতাকে নির্বাচন করবে, এমন আশা সকলের।
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডি :/ সাহাজুল ইসলাম
Leave a Reply