
বিএনপির মনোনয়ন বিক্রি শুরু হয়েছিলো দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয় নয়াপল্টনে। এরই মধ্যে ঘটোনে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা। বিএনপির কার্যালয়ের সামনে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুর করে বিএনপি এবং এর অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা। পুলিশের ভিডিও দেখে সনাক্তকরণে এমন তথ্যই উঠে এসেছে।
এরপর এই মামলায় গ্রেপ্তার করা হয় বিএনপির ৩৮ জন নেতা-কর্মীকে। এদের পাঁচ দিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার অনুমতি দিয়েছেন আদালত। এ ছাড়া একই ঘটনায় গ্রেপ্তার অপর ২৭ জনকে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদ করার নির্দেশ দেন আদালত।
পুলিশের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালত (সিএমএম) বৃহস্পতিবার এই আদেশ দেন। পল্টন থানা-পুলিশ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের ওই ৬৫ জন নেতা-কর্মীকে আদালতে হাজির করে বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করে।
হামলার প্রেক্ষাপট সম্পর্কে আদালতকে পুলিশ প্রতিবেদন দিয়ে বলেছে, নির্বাচন কমিশনের জারি করা নির্বাচন বিধি অনুযায়ী ব্যানার, ফেস্টুন নিয়ে শো-ডাউন নিষিদ্ধ। অথচ ওই দিন বিএনপি নেত্রী আফরোজা আব্বাসের নেতৃত্বে একটি মিছিল নিয়ে পল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আসে। অপরদিকে নবী উল্লাহ নবী এবং কফিল উদ্দিনের নেতৃত্বে আরও দুটি মিছিল আসে। এরপর বিএনপি নেতা মির্জা আব্বাসের নেতৃত্বে ৮ থেকে ১০ হাজার জনের একটি মিছিল নিয়ে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আসে। তাঁরা নয়াপল্টনের ভিআইপি রোড বন্ধ করে দিয়ে মিছিল ও শো-ডাউন করে যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দিয়ে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করে।
আদালতকে পুলিশ আরও বলেছে, রাস্তার এক লেন ছেড়ে দিয়ে যান চলাচল স্বাভাবিক রাখার জন্য অনুরোধ করলে তারা ক্ষিপ্ত হয়। নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের বিষয়টি জানানো হয় বিএনপি অফিসে থাকা বিএনপি নেতা রুহুল কবির রিজভীকে। বিএনপি অফিসের মাইকের মাধ্যমে যানবাহন চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি না করার জন্য ঘোষণা চেয়ে অনুরোধ করা হয়। তবে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে মির্জা আব্বাসের নেতৃত্বে আসামিরা বিএনপির অফিস থেকে লাঠিসোঁটা নিয়ে নয়াপল্টনের ভিআইপি রোডের গাড়ির শোরুমের উত্তর পাশের রাস্তায় পুলিশের গাড়ি পুড়িয়ে দেয়। পুলিশকে হত্যার উদ্দেশ্যে ইটপাটকেল ছোড়ে।
রিমান্ড আবেদনে পুলিশ আদালতকে বলেছে, মির্জা আব্বাস, রুহুল কবির রিজভী, আফরোজা আব্বাস, নবীউল্লাহ নবী, মেজর (অব.) আখতারুজ্জামান ও কফিল উদ্দিনদের প্রত্যক্ষ মদদে এই ঘটনা ঘটে। জাতীয় সংসদ নির্বাচন বানচাল করার জন্য পুলিশের মনোবল ভেঙে দিতে এই হামলা চালানো হয়। পলাতক আসামিদের নাম ঠিকানা সংগ্রহ করার জন্য আসামিদের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা জরুরি।
নির্বাচনী পরিবেশে এমন অরাজকতা সত্যি দুঃখজনক এবং অনাকাঙ্ক্ষিত। এর সঙ্গে জড়িতদের উপযুক্ত শাস্তির ব্যবস্থা করা উচিৎ।
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডি :/ সাহাজুল ইসলাম
Leave a Reply