
যৌন নিপীড়ন ও ধর্ষণ-মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ” এই শ্লোগানকে সামনে রেখে নারী ও কন্যাশিশু নির্যাতন প্রতিরোধ পক্ষ (২০১৮) আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ পক্ষ-২০১৮ ও বিশ্ব মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে সংবাদ সম্মেলন করেছে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ দিনাজপুর জেলা শাখা। নারীর মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য এবং নারী কন্যাশিশু নির্যাতন বিরোধী সংস্কৃতিক গড়ে তোলার উদ্দেশ্যে সারা বিশ্বে ২৫ নভেম্বর থেকে ১০ডিসেম্বর পর্যন্ত আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ পক্ষ ও বিশ্ব মানবাধিকার
দিবস পালিত হয়ে থাকে। বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ বিশ্বের অন্যান্য দেশের ন্যায় প্রতি বছর কেন্দ্র থেকে তৃণমূল শাখা পর্যন্ত বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণের মধ্য দিয়ে এই পক্ষ পালন করে আসছে। সেই ধারাবাহিকতায় সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়াও মহিলা পরিষদ যৌন নিপীড়ন ও ধর্ষণের ঘটনা প্রতিরোধে বিভিন্ন পাড়া-মহল্লায় তৃণমূলের নারী-পুরুষ/তরুণ-তরুণীদের সাথে সচেতনতামূলক সভা, যৌন হয়রানী ও নিপীড়ন প্রতিরোধ ও নির্মুলের লক্ষ্যে স্কুল-কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সাথে মতবিনিময় সভা, যৌন নিপীড়ন ও ধর্ষনের ঘটনা প্রতিরোধ ও দ্রুত বিচারের দাবীতে প্রশাসনকে স্মারকলিপি প্রদান, যৌন নিপীড়ন ও ধর্ষণের ঘটনা
প্রতিরোধ প্রতিবাদ সমাবেশ এবং আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ পক্ষ ও বিশ্ব মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে র্যালী ও সমাবেশ করবে। ২৫ নভেম্বর রোববার দিনাজপুর প্রেসক্লাব মিলনায়তনে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ জেলা শাখার সভাপতি কানিজ রহমান এর সভাপতিত্বে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সংগঠনের সহ-সাধারণ সম্পাদক মনোয়ারা সানু। লিখিত বক্তব্যে বলা হয় নারীর অবস্থানের ইতিবাচক পরিবর্তনের পাশাপাশি সমাজের ভেতরে যে মূল্যবোধের অবক্ষয় হচ্ছে সেখানে তরুণ সমাজের সাথে তরুণী নারীরা নানাভাবে জড়িয়ে পড়ছে। তারা নানা ধরনের সন্ত্রাসী কার্যক্রমসহ মাদক, এমনতি জঙ্গিবাদের সাথে জড়িয়ে
পড়ছে। নারীর প্রতি সহিংসতা বিশেষ করে শিশু ও তরুণী নারীদের গণধর্ষন, কুপিয়ে হত্যা করার মতো ঘটনা প্রতিদিন ঘটছে, যা উদ্বেগ সৃষ্টি করছে। এছাড়াও প্রতিক্রিয়াশীল গোষ্ঠী ও জঙ্গিদের দ্বারা ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে ও সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপর হামলা ও হত্যার ঘটনা ঘটছে। একদিকে বেকারত্ব, বিনোদনের অভাব (খেলাধুলা, শরীরচর্চা, পাঠ্যভ্যাস, সাংস্কৃতিক কর্মকান্ড, সমাজ-কল্যাণমূলক কর্মসূচী) মাদকাসক্তি, অপসংস্কৃতি, তথ্যপ্রযুক্তির অপব্যবহার, অসৎ রাজনীতিবিদদের দ্বারা সন্ত্রাসী বাহিনী হিসেবে ব্যবহার এবং অস্ত্র প্রাপ্তি এসব তরুণ সমাজের উপর ভয়াবহ নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। এই ধরনের সন্ত্রাসী কার্যক্রম চলতে থাকলে নারী
আন্দোলন বাধাগ্রস্থ হবে এবং নারীর স্বাধীন চলাচল ও উন্নয়নের ধারার গতি ক্রমন্বয়ে সংকুচিত হয়ে পড়বে। ফলে সামজের মধ্যে নানা ধনের অস্থিরতা ও নিরাপত্তাহীনতার পরিস্থিতি বিরাজ করবে। সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ দিনাজপুর জেলা শাখার সহ-সভাপতি মিনতি ঘোষ, অর্থ সম্পাদক রত্না মিত্র, সাংগঠনিক সম্পাদক রুবিনা আকতার, প্রচার সম্পাদক জেসমিন আরা বেগম, আন্দোলন সম্পাদক গৌরী চক্রবর্তী, সদস্য রোকসানা বিলকিছ, শুক্লা কুন্ডু, সুফিয়া বেগম প্রমুখ।
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডি:/আমিরুল ইসলাম
Leave a Reply