
হাইকোর্টের আদেশের ফলে দণ্ডিতরা নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না। এ রায় বিএনপি ও ঐক্যফ্রন্টকে প্রতিহত করতে দেওয়া হয়েছে, জনগণের কাছে এ রায় গ্রহণযোগ্য নয় বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
মঙ্গলবার দুপুরে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রধান নেতা ও গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেনের সঙ্গে বৈঠক শেষে বেরিয়ে আসার পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
এর আগে সোমবার বিকেলে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপার্সনের রাজনৈতিক কার্যালয় থেকে মনোনীত প্রার্থীদের হাতে মনোনয়নের চিঠি তুলে দেয়ার সময় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, নির্বাচনের মধ্য দিয়ে একটি আন্দোলন সৃষ্টি করে বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করার পাশাপাশি জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে চাই।
তিনি বলেন, জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার অংশ হিসেবে একটা জাতীয় ঐক্য গড়ে ওঠেছে। আমরা দেশে অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন চাই। এর মধ্য দিয়ে দেশের মানুষ তার প্রতিনিধি নির্বাচন করতে পারবে, ভোটের অধিকার ফেরত পাবে।
এ সময় আবেগাপ্লুত হয়ে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন মির্জা ফখরুল। কথা বলা থামিয়ে চোখের পানি মুছতে দেখা যায় তাকে।
পরে তিনি বলেন, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে কারাগারে রেখেই নির্বাচনে যেতে হচ্ছে। খালেদাকে মুক্তি আন্দোলনের অংশ হিসেবেই আমরা নির্বাচনে যাচ্ছি।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমরা ঐক্যফ্রন্টের পক্ষ থেকে ৭ দফা দাবি দিয়েছিলাম। এসব দাবি নিয়ে জনগণের কাছে গিয়েছি।
সরকারের সঙ্গে সংলাপ করেছি, নির্বাচন কমিশনের (ইসি) কাছে গিয়েছি। কিন্তু তারা সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টি করতে ব্যর্থ হয়েছে। ইসি সম্পূর্ণ পক্ষপাত দুষ্ট হয়ে কাজ করছে। বারবার বলেছি- যা কিছু করার তা করা প্রয়োজন। কিন্তু তারা করছে না।
তিনি বলেন, শুধু তাই নয়, প্রশাসনেও রদবদলের প্রয়োজন। আমরা বললেও তা করা হয়নি। ইভিএম (ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিন) বন্ধ রাখেনি। পত্র-পত্রিকায় সিইসির (প্রধান নির্বাচন কমিশনরা) ভাগ্নে শাহাজাদা সাজু আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন। আমরা আগেও বলেছিলাম- তিনি (সিইসি) পক্ষপাত দুষ্ট। কিন্তু কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি।
ফখরুল বলেন, এতকিছুর পরও আমরা নির্বাচনে যাচ্ছি। আমরা বিশ্বাস করি এর মধ্য দিয়েই রাষ্ট্র ক্ষমতা পরিবর্তন সম্ভব এবং জনগণ তার অধিকার ফেরত পাবে।
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডি:/আমিরুল ইসলাম
Leave a Reply